কেরুজ ডিহি বাণিজ্যিক খামারের পুড়ে যাওয়া আখ চিনিকলে ৫ দিনেও আনা সম্ভব হয়নি

বেগমপুর প্রতিনিধি: কেরুজ ডিহি বাণিজ্যিক খামারের আগুনে পুড়ে যাওয়া আখ ৫ দিনেও চিনিকলে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে পুড়ে যায়া আখ মাড়াই করে কর্তৃপক্ষকে গুনতে হবে লোকসান। এদিকে পুড়ে যাওয়া আখ চিনকলে আনার কারণে কৃষককে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।

জানা গেছে, গত ৫ মার্চ তৃতীয়বারের মতো কেরুজ ডিহি বাণিজ্যিক খামারের জে-ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ফার্মের প্রায় ২০ একর জমির আখ পুড়ে ভস্মীভূত হয়। কর্তৃপক্ষের যুক্তি পুড়ে যাওয়া আখ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিনিকলে এনে মাড়াই করলে খুব একটা ক্ষতি হয় না। ৫ দিন অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ পুড়ে যাওয়া আখ চিনিকলে এনে মাড়াই করতে পারেনি। তাহলে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে এর জবাব মিলবে কীভাবে? কেরুজ নিজস্ব জমির আখে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটলে সে সময় পুড়ে যাওয়া আখ তোলার জন্য চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখচাষিদের পুর্জি কমিয়ে দেয়। ফলে আখ চাষিরা তাদের আখ মিলে সরবরাহ করতে পড়ে বিড়ম্বনায়। অভিযোগ উঠেছে, আখ কাটার মরসুমে কেরুজ মিল এলাকায় চলে পুর্জি কেনা বেচা। প্রকৃত চাষিরা তাদের আখ তুলতে কিনে থাকে পুর্জি। এসব ঝামেলার কারণে চিনিকল এলাকায় দিনদিন হ্রাস পাচ্ছে আখ চাষ। তার ওপর আবার পুড়ে যাওয়া আখ তোলার কারণ দেখিয়ে আখ চাষিদের পুর্জি দিতে মিলকর্তৃপক্ষ দেখায় অজুহাত। এভাবে চলতে থাকলে চাষিরা আখচাষে হারাবে আগ্রহ। ফলে ঐতিহ্যবাহী চিনিকলটি আখের অভাবে পড়বে হুমকির মুখে।

উল্লেখ্য, চলতি মরসুমে ডিহি বাণিজ্যিক খামারে ৩ বার, আকন্দবাড়িয়া বীজ উৎপাদন খামারে ৩ বার, ফুলবাড়ি বাণিজ্যিক খামারে ১ বার, আড়িয়া বাণিজ্যিক খামারে ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এ বিষয়ে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা কোনো বিবেকবান লোকের কাজ নয়। ভবিষ্যতে যাতে আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।