স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের আড়াই মাস যেতে না যেতেই বউ তালাক দিতে উঠেপড়ে লেগেছে আলমডাঙ্গার নান্দবার গ্রামের আলম। এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের ওপর নির্যাতন করে চলেছেন তিনি। হয় এক লাখ টাকা দিতে হবে না হলে তালাক নিয়ে বউকে বাড়ি ছাড়তে হবে বলে শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি। ফলে বউকে বাড়িতে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছেন তিনি। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গার মানবতা সংস্থার সহায়তায় রাবেয়াকে উদ্ধার করে আনতে গেলে স্থানীয় মেম্বার ও রাবেয়ার শ্বশুর প্রকাশ্যেই মারধর করে রাবেয়াকে।
সূত্র জানায়, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ২ লাখ টাকা দেনমোহরে দামুড়হুদার দলকালক্ষ্মীপুরের মাহবুবুর রহমানের মেয়ে রাবেয়ার সাথে আলমডাঙ্গার নান্দবার গ্রামের আমির হোসেন ওরফে চতুর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর রাবেয়ার পিতা মেয়ের সুখের জন্য গয়নাগাটিসহ বিভিন্ন জিনিস দেন মেয়ে-জামাইকে। কিন্তু তাতে জামাই তুষ্ট না হয়ে আরো এক লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে রাবেয়ার ওপর নির্যাতন চালান। এ ছাড়া যৌতুক না দিলে মেয়েকে তালাক দিয়ে নিয়ে যেতে বলে শ্বশুর পক্ষকে। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য রাবেয়ার পিতা মাহাবুবুর রহমান গতকাল সকাল চুয়াডাঙ্গার মানবতা সংস্থায় আবেদন করেন। বিকেলে মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারের নেতৃত্বে মেয়ের পিতা, চাচা ইসমাইল হোসেন ও মানবতা সংস্থার অন্যান্য সদস্য মিলে নান্দবারে যান। সেখানে রাবেয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পূর্ব মুহূর্তে সন্ধ্যা ৬টার পরপরই এলাকার মেম্বার আশরাফ ও রাবেয়ার শ্বশুর চতুর আলী সকলের সামনে চ্যালা কাঠ দিয়ে রাবেয়াকে মারধর করে ঘরে তুলে নিয়ে যান। এ সময় তারা বলেন মেয়ে নিয়ে যেতে হলে তালাক দিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সেই সাথে বিয়ের সময়ের খরচ বাবদ আরো ৫০ হাজার টাকা দিয়ে যেতে হবে। অগত্যা মেয়ে পক্ষের লোকজন ফিরে আসেন। মানবতার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার জানান আজ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হবে।