সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করা সকল ভোটারের দায়িত্ব

 

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন আগামী ১৫ মার্চ এবং জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ মার্চ। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা সদর এবং আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় মেতে উঠছেন। সাধারণ ভোটাররা নিজ এলাকার উন্নয়নে প্রতিনিধি নির্বাচনের লক্ষ্যে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে মতামত দেবেন। এ মতামতের গুরুত্ব অনেক। কোনোভাবেই একটি ভোটকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচিত করা প্রত্যেক ভোটারের দায়িত্ব। গত ৫ জানুয়ারি দেশবাসী ভোট দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। যদিও দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় কোনো অংশেই উপজেলা নির্বাচনের গুরুত্ব কম নয়। উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। এটি স্থানীয় নির্বাচন, এ নির্বাচন দলীয় না হলেও সমর্থনের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। চুয়াডাঙ্গায় যেমন দলীয় সমর্থন দিয়েছে বিএনপি তথা ১৯ দলীয় জোট, তেমনই আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও ঘটেছে অনেকটা অভিন্ন ঘটনা।

স্থানীয় নির্বাচনকে রাজনৈতিক দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা যুক্তিযুক্ত নয়। দক্ষতা, যোগ্যতাসহ কে কার তুলনায় অধিক সৎ তা বিবেচনা করে তাকেই নির্বাচিত করা উচিত। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ পরিবেশে সম্পন্ন হলে তথা ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করতে পারলে তারা যে ভুল করেন না বা ভুলস্থানে ভোট দেন না, তা নিয়ে এখন আর তেমন বির্তক নেই। দিন দিন মানুষ সচেতন হয়েছে। একটি ভোটের কতোটা গুরুত্ব তাও ভোটাররা জানতে বা বুঝতে শিখেছে। গণতান্ত্রিক পন্থায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হলে অবশ্যই প্রয়োজন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদেরকে ভোট দিয়ে স্ব স্ব উপজেলাবাসী তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। নির্বাচনে সামান্য অর্থের বিনিময়ে ভোট দিয়ে কোনো অযোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করলে তার কুপ্রভাব পড়বে গোটা সমাজে। অযোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হলে সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বদলে শোষণ আর দুর্নীতি ভর করবে। বিগত দিনের নির্বাচনে এমনও শোনা গেছে, লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে ভোটে জিতেছি, এখন সেই টাকা তুলে নিয়ে তারপর উন্নয়ন। এসব ঘৃণিত উক্তি যেন কোনো সমাজের কোনো মানুষকে শুনতে না হয়, সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখা দরকার। দরকার স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী করতে যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে নির্বাচিত করা। আর দায়িত্ব পালনে কোনো অবস্থাতেই ঘরে বসে থাকলে চলবে না। প্রত্যেক ভোটারকেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে আন্তরিক হতে হবে। ভোটাধিকার প্রয়োগ দেশের সকল ভোটারের দায়িত্ব।