দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনের আরমাত্র ৫ দিন বাকি : প্রার্থীদের ঘুম হারাম

 

সাধার ভোটারদের ধারণা : লড়াই হবে ত্রিমুখি

বখতিয়ার হোসেন বকুল: দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী ১৫ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনের আরমাত্র ৫ দিন বাকি। নাওয়া খাওয়া ভুলে, ঘুমকে হারাম করে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাত দিন ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় জামায়াতের নির্দিষ্ট কিছু ভোট থাকায় চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও পিছিয়ে নেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে আজাদুল ইসলাম আজাদের জয়ের সম্ভাবনাও কম নয়।

এদিকে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির দুজন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নিলেও সম্প্রতি সময়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক বাবু খানের সমর্থন পেয়ে লিয়াকত আলী শাহ রয়েছেন অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে। ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নির্বাচনি লড়াইয়ে। জাগিয়ে তুলেছেন ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। শেষমেষ আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও বিএনপির প্রার্থী লিয়াকত আলীর শাহর মধ্যে ত্রিমুখি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা বলে মনে করছেন এলাকার সচেতনমহলসহ সাধারণ ভোটারা।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ ও জামায়াতের একক প্রার্থী এবং বিএনপির ২ জন  প্রার্থী মাঠে থাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রয়েছেন অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে। তিনি জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর চেয়ে নির্বাচনী দৌঁড়ে বেশ খানেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছে এলাকার সাধারণ ভোটারা। অপরদিকে বিএনপির দুপ্রার্থীর মধ্যে হাবিবুর রহমান বুলেট সম্প্রতি বাবু খানের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে ভোটারদের ধারণা নির্বাচনি লড়াইয়ে তিনিও খুব একটা পিছিয়ে নেই। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী থাকলেও জামায়াতের কোনো প্রার্থী না থাকায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ভোটযুদ্ধে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা। তবে নির্বাচনের বাকি ৫ দিন যে প্রার্থী যতবেশি ভোটারদের মন জয় করে তার পক্ষে টানতে পারবেন জয়ের মালা গলায় পরে তিনিই শেষ হাসি হাসবেন বলেও জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ ভোটাররা।

চেয়ারম্যান পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার হলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ (কাপ-পিরিচ), জামায়াত সমর্থিত জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাও. আজিজুর রহমান (মোটরসাইকেল), বিএনপি সমর্থিত দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী শাহ (ঘোড়া) এবং বিএনপির অপর অংশের (অহিদুল গ্রুপ) প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান (দোয়াত-কলম) ও এজাজুল হক মিরাজ নির্বাচনী মাঠে না থাকলেও তার প্রতীক রয়েছে (আনারস)।

অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শহিদুল ইসলাম (চশমা), জামায়াত সমর্থিত আব্দুল কাদের (টিউবওয়েল), বিএনপি সমর্থিত হাবিবুর রহমান বুলেট (টিয়াপাখি) এবং বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আবুল হাশেম (তালা)। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত রওশন আকবর লাইলী (প্রজাপতি)  এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছালমা জাহান পারুল (হাঁস)।