অস্ত্রের মুখে ৩ জনকে বেঁধে দুটি মোটরসাইকেল ছিনতাই

দর্শনা পরাপুর-লোকনাথপুর সড়কে ছিনতাইকারদের তাণ্ড

দর্শনা অফিস: খানেকটা হঠাত করেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। দর্শনাসহ আশপাশ এলাকায় প্রায় প্রতিরাতেই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। দর্শনা পরানপুর-লোকনাথপুরে ছিনতাইকারীদের তাণ্ডবের মুখে পড়েছে তিনজন। ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে তিনজনকে ভুট্টাক্ষেতে বেঁধে দুটি মোটরসাইকেলসহ মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে। পুলিশ এ ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছে।

জানা গেছে, দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের লোকনাথপুরের সাধুসংঘ থেকে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া বাজারপাড়ার পাঞ্জা মালিথার ছেলে সালাম ফকির, একই পাড়ার আকাবত আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, মদনা উত্তরপাড়ার ওলি আহম্মেদের ছেলে পল্লি চিকিৎসক মতিয়ার রহমান ও নজির আহম্মেদের ছেলে আলী কদর। এদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন করিমনযোগে আগেই দর্শনায় পৌঁছান। মতিয়ার ও সালাম ফকির মোটরসাইকেলযোগে লোকনাথপুর-পরানপুর সড়ক হয়ে দর্শনায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ওই সড়কের লোকনাথপুরে ৭/৮ জনের সশস্ত্র ছিনতাইকারী দুটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সালাম ফকির, মতিয়ার ও আলী কদরকে পার্শ্ববর্তী মাঠের ভুট্টাক্ষেতে বেঁধে তাদের কাছে থাকা দুটি ১০০ সিসি হিরোহোন্ডা স্প্লিন্ডার মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইলফোন ও নগদ ৭১০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তিনজনকে মারধর করে বাঁধা অবস্থায় ভুট্টাক্ষেতে ফেলে রেখে যায় ছিনতাইকারীরা। ঘণ্টা খানেক পরে নিজেরাই নিজেদের বাঁধন খুলে মুক্ত হয়।

এ খবর শুনে দর্শনা আইসি ইনচার্জ মিজানুর রহমান তাৎক্ষণিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৌঁছান ঘটনাস্থলে। তবে পুলিশ ছিনতাইকারীচক্রের কোনো সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার করতে পারেনি মোটরসাইকেলসহ ছিনিয়ে নেয়া মালামাল। এ ঘটনায় পুলিশ মতিয়ার, আলী কদর ও সালামের ভাব-ভঙ্গিমায় মন্তব্য করে বলেছেন, ছিনতাইয়ের নাটক সাজানো হতে পারে। নেপথ্যে হয়তো রয়েছে কোনো রহস্য। তবু পুলিশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দারোগা মিজান। তিনি আরো বলেছেন, ছিনতাইকারীচক্রটি গ্রেফতারের জন্য পুলিশি জাল বিস্তার করা হয়েছে।