স্টাফ রিপোর্টার: হার দিয়েই শেষ হল বাংলাদেশের এশিয়া কাপ। গত আসরের ফাইনালে খেলা স্বাগতিকরা হারলো চারটি ম্যাচেই। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের মোটামুটি সংগ্রহ ১ ওভার হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টের অপরাজিত দলটির জয় ৩ উইকেটে। গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২০৪ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৪৯ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সবার আগে ফাইনালে উঠে যাওয়া শ্রীলঙ্কা। অবশ্য লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নেমে আল-আমিন হোসেনের চমৎকার বোলিঙে ৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে কৌশল পেরেরাকে এনামুলের ক্যাচে পরিণত করার পর তৃতীয় ওভারে কুমার সাঙ্গাকারাকে নাসিরের ক্যাচে পরিণত করেন আল-আমিন।রুবেল হোসেনের করা দ্বিতীয় ওভারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান-আউট হয়ে বিদায় নেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।আশনা প্রিয়াঞ্জনকে এনামুলের দ্বিতীয ক্যাচে পরিণত করে ৪১ রানের চুতর্থ উইকেট জুটি ভাঙ্গেন জিয়াউর রহমান। আরাফাত সানির বল লংঅনের ওপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে রুবেলের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন লাহিরু থিরিমান্নে। দলের স্কোর তখন ৭৫/৫।কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে চতুরঙ্গ ডি সিলভার সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।চতুরঙ্গকে এনামুলের ক্যাচে পরিণত করে ১৬.২ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙ্গেন মাহমুদুল্লাহ।থিসারা পেরেরার সঙ্গে ৩৬ রানের আরেকটি জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসেন ততক্ষণে অর্ধশতক পেয়ে যাওয়া ম্যাথিউস। এরপর পেরেরাকে সরাসরি থ্রোয়ে রান-আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন রুবেল হোসেন।তবে ম্যাথিউসের অপরাজিত ৭৪ রানের সুবাদে ১ ওভার বাকি থাকতেই দলকে জয় এনে দেয়। তার ১০৩ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কা।এর আগে ইমরুল কায়েসের চোটের কারণে দলে ফেরা শামসুর রহমানের সাথে এনামুল হকের ৭৪ রানের উদ্বোধনী জুটি বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলো। তবে পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সংগ্রহ খুব একটা বড় হয়নি স্বাগতিকদের। ১৯তম ওভারে অজন্তা মেন্ডিস শামসুর ও মুমিনুল হককে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের বড় একটা ধাক্কা দেন। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন শামসুর।