ধর্ষণের মতো ঘৃণিত কাজ হচ্ছে কেন?

 

সমাজে কিশোর অপরাধ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘটছে ধর্ষণসহ ওই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা। ধর্ষণের মতো ঘৃণিত কাজ হচ্ছে কেন? বিকৃত রুচির এমন কিছু চিত্র সমাজে ছড়ানো হয়েছে বা ছড়িয়েছে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া না গেলে আমাদের সমাজ থেকে ধর্ষণসহ ওই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন। বিশ্বের এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে ধর্ষণ শব্দটির সাথে তেমন পরিচিত নয়। আর এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে সর্বসময়ই ধর্ষণের আশঙ্কা বিরাজমান। এরকম দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় শিশু ধর্ষণের একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে একাংশে বলা হয়েছে, ঘটনার পর এলাকায় নীলছবি প্রসঙ্গ আলোচনায় উঠেছে এসেছে। হাত বাড়ালেই নীলছবি দোকান থেকে কেনা যায়। তা মোবাইলফোনের মাধ্যমে প্রদর্শিত হওয়ার কারণে সমাজে ধর্ষণসহ ওই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলমডাঙ্গার পল্লিতে মাত্র ৬ বছর বয়সী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিয়ে বাড়িতে গান-বাজনা শুনতে যাওয়া শিশুকন্যাকে তিন কিশোর ফুঁসলে মাঠে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তাকে যারা ধর্ষণ করেছে তাদের বয়সই বা কতো। নীলছবি উত্তেজনা সৃষ্টি করে, ওই ছবি কুরুচিকে উসকে দেয়।

কিছু কুরুচিপূর্ণ সংস্থা অর্থালিপ্সু নারী-পুরুষদের দিয়ে যে ছবি চিত্রায়িত করে, তা বন্ধ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। কিন্তু তাদের ওই কুরুচিপূর্ণ নীলছবি আমাদের দেশে প্রবেশ যে বন্ধ করা যায়, আমাদের দেশের সর্বস্তর থেকে উদ্ধার করে বিনষ্ট করা যায় তা নিয়ে নিশ্চয় কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। ধর্ষণের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য যা যা করা দরকার তা কালবিলম্ব না করেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে আমাদের। আমাদের দেশে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইন রয়েছে। এ আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যে হচ্ছে না তা নয়। এরপরও কেন নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ হ্রাস পাচ্ছে না তা খতিয়ে দেখে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া দরকার। দরকার সমাজ থেকে নীলছবি বন্ধ করা। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়া দরকার। অবশ্য সুন্দর সমাজ গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে সমাজ থেকে এ ধরনের অপরাধ দূর করা সম্ভব।