স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের খুনিরা শনাক্ত হয়েছে। এ খুনের মূল পরিকল্পক, নির্দেশক ও সরাসরি অংশগ্রহণকারী হলেন আজমেরী ওসমান। আজমেরী নারায়ণগঞ্জের এমপি নাসিম ওসমানের ছেলে। হত্যাকাণ্ডে আজমেরীর সঙ্গী হয়েছিলো আরও ১০ জন। ত্বকী হত্যার আজ এক বছর পূর্তির সময়সীমার মধ্যে খুনি শনাক্তকরণে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন র্যাব ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শিগগির এ সংক্রান্ত চার্জশিট আদালতে পেশ করা হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে মামলার অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থার হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঘাতকরা নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখতে সুপরিকল্পিতভাবে তিনটি পর্বে এ হত্যা ঘটায়। প্রথম পর্বে বেশ কিছুদিন ধরে আজমেরীর ছয় সহযোগী ত্বকীর গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় পর্বে কিলিং পয়েন্ট হিসেবে ওসমান পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উইনার ফ্যাশন ভবনকে বেছে নেয়া হয়। অপরাধ সংঘটনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে দ্রুত গাড়ি নিয়ে ঢুকতে না পারে সেজন্য ভবনের পাশের রাস্তায় বাঁশ ফেলে বাধা তৈরি করে রাখা হয়। তৃতীয় পর্বে সাত ব্যক্তি ত্বকীকে তুলে আনে এবং হত্যাকাণ্ডের পর লাশ কুমুদিনী খালে ফেলে দেয়।
গত বছরের ৬ মার্চ এ হত্যাকাণ্ডের পর নারায়ণগঞ্জসহ দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ত্বকীর পিতা রাফিউর রাব্বী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। ত্বকী হত্যার বিচার দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ তদন্তে সেই সত্যিই বেরিয়ে এলো।