ঝিনাইদহে ৭ দিনব্যাপি কালীপূজা ও মেলা শুরু

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ শহরের ষাটবাড়িয়া গ্রামে শ্রী শ্রী গঙ্গাতলা মন্দির প্রাঙ্গণে সাত দিনব্যাপি কালীপূজা শুরু হয়েছে। পূজা উৎসব উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। মনোরম সাজসজ্জার পাশাপাশি রঙ-বেরঙের বাতির আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে মন্দির এলাকা। দেশের বিভিন্ন এলাকার হাজারো দর্শকের পদচারণায় সাত দিনব্যাপি এ পূজা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আগামী সোমবার শেষ হবে। পূজায় চণ্ডিপাঠ, বলিদান, মায়ের সামনে আরতি ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

পাঁচটি পাঁঠাবলির মধ্যদিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কনক কান্তি দাস প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা খগেন্দ্রনাথ দাস, প্রফুল্ল কুমার সরকার, পলাশ কুমার বিশ্বাস, অরুণ কুমার ঘোষ, পৃত্তিষ রঞ্জন বিশ্বাস, বিদ্যুত কুমার দাস, স্বপন কুমার দাস, সুশান্ত কুমার দাস বক্তব্য রাখেন।

স্থানীয়রা জানান, দেড়শ বছর আগে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কালীপূজা অর্চনার জন্য নবগঙ্গা নদীর তীরে খড়ের ঘরে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে এখানে কালীপূজা ও মেলা হয়ে আসছে।

প্রতিমা নির্মাতা কৃষ্ণ কুমার জানান, এ কালীপূজার উচ্চতা ১৪ হাত। সরকারি পৃষ্ঠপোষকাতার অভাবে ঐতিহ্যবাহী পূজা ও মেলার জৌলুস কমে আসছে। এছাড়া দীর্ঘদীন ধরে মন্দিরের ৪৬ শতক জমিও প্রভাবশালীরা দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে।

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লিকু দাস জানান, প্রতিদিন গভীররাত পর্যন্ত চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পূজায় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজারো ভক্ত এসে এখানে পূজা-অর্চনা করছেন। পুলিশ প্রশাসন ও পূজা উদযাপন কমিটি মেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।