মহাসিন আলী: রবি মরসুমে মেহেরপুরের চাষিদের অন্যতম একটি আবাদ মুসুরি। এ বছরও মেহেরপুরের চাষিরা মুসুরির চাষ করেছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসাবমতে এ বছর এ জেলায় মসুরির আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসাবমতে এ বছর মেহেরপুর জেলায় ৪ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে মসুরি চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪শ হেক্টর বেশি। গত বছরে জেলায় মসুরির চাষ হয়েছিলো ৩ হাজার ৯৫২ হেক্টর জমিতে। এ বছর ক্ষেতে মসুরিগাছ দেখে চাষিরা বেজায় খুশি। আবাদ করা মসুরি ঘরে উঠতে শুরু করেছে। এ ফাল্গুনের প্রথম থেকে এ জেলার আবাদ করা মসুরি বৈরি আবহাওয়ার মুখে পড়ে। ফাল্গুনের প্রথম তিন দিনের বৃষ্টিতে ফুল ধুয়ে আগাম লাগানো মসুরির ক্ষতি হয়েছে। আবারো এ ফাল্গুনের ১৬ তারিখে মেহেরপুরে দিনভর বৃষ্টি হয়। মসুরি ওঠার আগ মুহূর্তে বৈরি আবহাওয়া এ ফসলের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে শঙ্কিত ছিলেন জেলার অনেক চাষি।
মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের চাষি ফজলু জানান, খুব কম খরচে মসুরি চাষ করা যায়। এক বিঘা জমিতে মসুরির আবাদ করতে চাষ, বীজ, সার আর বিষ কিনতে সব মিলিয়ে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘা জমি হতে ৫ মণ থেকে ৬ মণ মসুরি পাওয়া যায়। প্রতিমণ মসুরি প্রায় আড়াই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করা যায়। সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মসুরি আবাদে অল্প খরচ করে চাষি বেশি লাভবান হতে পারেন। তিনি বৃষ্টি প্রসঙ্গে বলেন, হালকা ওই বৃষ্টি মসুরির আবাদে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারেনি।
মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, এ বছর জেলায় মসুরির বাম্পার ফলন হয়েছে। মসুরির আবাদে চাষিদের সাথে এ জেলার কৃষি বিভাগও খুশি। তিনি বৃষ্টি প্রসঙ্গে বলেন, ফাল্গুলের প্রথম ৩ দিনের বৃষ্টিতে আগাম আবাদ করা মসুরির ফুল ধুয়ে কিছুটা ক্ষতি হলেও পরের বৃষ্টি মসুরির কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।