দিনভর আলোচনা আর গুঞ্জন থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি
স্টাফ রিপোর্টার: জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটায়নি বিএনপি। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি একক প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে এক জায়গায় বসলেও কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। গতকাল সোমবার দিনভর আলোচনায় ছিলো উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক দু চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ও লিয়াকত আলী শাহর মধ্যে সমঝোতা হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ একক প্রার্থীর ঘোষণা দেবেন। কিন্তু গতরাতে অপেক্ষার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এ ধরনের ঘোষণা আসেনি কোনো পক্ষ থেকে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির দু পক্ষের সমর্থিত দু চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত আলী শাহ্ ও ফজলুর রহমার চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা শুরু করলে গ্রামে গ্রামে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন বিএনপির এ দু প্রার্থীসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবি একজন প্রার্থী চূড়ান্ত করতে হবে। সে লক্ষ্যে জেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের চুয়াডাঙ্গার বাড়িতে বৈঠকে বসেন দু পক্ষের নেতৃবৃন্দ। উদ্দেশ্য ছিলো একক চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করা। জেলাসহ দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির মধ্যে এ নিয়ে দিনভর আলোচনাও ছিলো। এমনকি দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যেও আলোচনার কমতি ছিলো না। কিন্তু সন্ধ্যার পর পত্রিকায় প্রেসবিজ্ঞপ্তি আকারে একক প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়টি চূড়ান্ত করে বিবৃতি দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। অনেকেই দৈনিক মাথাভাঙ্গায় গত গভীর রাত পর্যন্ত খবর নিয়েছেন এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না। অনেকেই বলেছেন আজ মঙ্গলবার এ ব্যাপারে বিএনপির দুটি পক্ষ সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কি লিয়াকত আলী শাহকে একক প্রার্থী করা হতে পারে, নাকি ফললুর রহমান থাকছেন চূড়ান্ত তালিকায়? কারণ দামুড়হুদায় বিএনপির একক প্রার্থী হলেই নতুন করে হিসাব-নিকাশে বসবে আ.লীগ, বিএনপি ও জামায়াত। সে ক্ষেত্রে কার ভোটের পাল্লা ভারী হবে, আর কাকে ভোট দেয়া যায় তা ভোটারেরাও ভাবতে শুরু করবে বলে ধারণা করছে নেতৃবৃন্দ। বিএনপি তাদের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করলে দামুড়হুদায় ত্রিমুখি ভোটযুদ্ধ হবে বলে অনেকেই মন্তব্য করছে। তবে যতোক্ষণ না বিএনপির একক প্রার্থিতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না।