ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের ছয় উপজেলায় গত দু মাসে দুর্বৃত্তদের হাতে তিন শিশুসহ ৯ জন খুন হয়েছে। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় দুজন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় তিনজন, কোটচাঁদপুর উপজেলায় দুজন এবং শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় একজন করে রয়েছে। জেলার বিভিন্ন থানা নিহতদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় জেলায় দু মাসে নিহত হয়েছে ১১ জন। এর মধ্যে কালীগঞ্জে পাঁচজন, শৈলকুপায় তিনজন এবং মহেশপুর, হরিণাকুণ্ডু ও ঝিনাইদহ সদর থানায় একজন করে।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি পরকীয়া প্রেমের জের ধরে কালীগঞ্জ উপজেলার বরাট গ্রামে কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে খুন করে প্রতিপক্ষকরা। ১৮ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার টিকারী বাজারে পুলিশের গুলিতে দুজন মারা যায়। ২১ জানুয়ারি ঝিনাইদহ পৌর এলাকার উদয়পুর গ্রামে এক ইজিবাইক চালককে খুন করে তার গাড়ির ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
২২ জানুয়ারি কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামে মায়ের হাতে খুন হয় সুমাইয়া নামে এক শিশু। ২৩ জানুয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামে ছেলের হাতে খুন হয় আব্দুল গনি ফকির। ২৬ জানুয়ারি কোটচাঁদপুর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানে ক্রসফায়ারে নিহত হন স্কুল শিক্ষক জামায়াত নেতা এনামুল হক। ২ ফেব্রুয়ারি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রথখোলা গ্রামে অপহরণের পর শিশু হযরত আলীকে হত্যা করে একটি কুয়ার মধ্যে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত স্কুলছাত্রী লক্ষ্মী রানীর লাশ পাওয়া যায় শৈলকুপা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে। সর্বশেষ সোমবার শৈলকুপা উপজেলার সিদ্ধি গ্রামে ময়েন উদ্দীন নামে এক কৃষককে গলা কেটে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা।
এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আসামি গ্রেফতার বা মামলার ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় চরমপন্থি ও পেশাদার সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। তবে সামাজিক দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে বলে তিনি মনে করেন।