স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার ভুয়া নাম দিয়ে এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সই ও সিল জাল করে দু টন চাল বরাদ্দ নিতে চেয়েছিলো এক প্রতারক। তবে জেলা প্রশাসনের বিচক্ষণতার কারণে দু টন চাল নিতে পারেনি সে। কিন্তু ওই প্রতারককে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।
সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা সংলগ্ন ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা রেজি. নং ৭৫ স. সে ভুয়া প্যাড ছেপে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয় অসহায় প্রতিবন্ধীদের খাবারের জন্য দু টন জিআর চাল বরাদ্দ চেয়ে। দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলাধীন পৌরসভা সংলগ্ন একটি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা রয়েছে। এখানে প্রায় ১০০ জন অসহায় ও দরিদ্র প্রতিবন্ধী রয়েছে। এরা খুবই কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছে। এদের দু বেলা দু মুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় প্রতিবন্ধীদের খাবারের জন ২ টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়ার অনুরোধ করা হলো।’ দরখাস্তকারী সংস্থার সভাপতি হিসেবে মো. রুবেল আহম্মেদ স্বাক্ষর করেছেন। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর করা আবেদনে যথারীতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের জাল সই ও সিলযুক্ত ভুয়া সুপারিশ দেখানো হয়। সুপারিশে লেখা হয় ‘আবেদনটি সুবিবেচনা করার জন্য জোর সুপারিশ করা হলো।’ এমপির সুপারিশ দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাল বরাদ্দ দেয়ার জন্য দরখাস্তে স্বাক্ষরও করে ফেলেন। কিন্তু বিধি বাম, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নামে দুটি বানান ভুল ও স্বাক্ষরটি দেখে সন্দেহ হয় জেলা প্রশাসনের। এরপরই দরখাস্তে ব্যবহৃত মোবাইলফোনে (০১৭৩৩৭৪৫১৭৮) কল দিয়ে প্রতারককে ধরার চেষ্টা করে প্রশাসন। কিন্তু ততোক্ষণে প্রতারক ব্যাপারটি বুঝে সতর্ক হয়ে যায়। প্যাডে উল্লেখ করা রেজি. নম্বরটিও ভুয়া বলে জানায় সমাজসেবা অধিদপ্তর। তবে এখনো ওই প্রতারককে ধরা যায়নি। অনেকেই দাবি তুলেছে যে প্রতারক জাতীয় সংসদ সদস্যের সই ও সিল জাল করার দুঃসাহস দেখাতে পারে তাকে অবশ্যই খুঁজে বের করা দরকার।