যৌতুকের দাবিতে ঘরে আটকে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ


আলমডাঙ্গা ব্যুরো: যৌতুকের দাবিতে ঘরে আটকে নির্যাতন করে এক সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আলমডাঙ্গার ছত্রপাড়ার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি এ নির্যাতন করেছে বলে গৃহবধূ ফুলমতি অভিযোগ করেছেন। প্রায় ৩ বছর আগে আলমডাঙ্গা ছত্রপাড়া গ্রামের নবিসদ্দীনের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৫) কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কুর্শা গ্রামের হারুন-অর রশিদের মেয়ে ফুলমতিকে (২২) বিয়ে করেন। বিয়ের বছর পার হতে না হতেই জহুরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুকের দাবি তোলা হয়। অত্যাচার অসহ্য হয়ে উঠলে বাপের বাড়ি থেকে কিছু টাকা এনে দিতের ফুলমতি। বেশ কয়েক দফা টাকা এনে দেন তিনি। এভাবেই কেটে যায় ৩ বছর। এরই মধ্যে তাদের পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। তার বয়স এখন ১ বছর প্রায়। একমাস আগে ফুলমতির দরিদ্র পিতা হারুন-অর রশিদ লটারির মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ধার-দেনা করে মালয়েশিয়া যান। এখনো বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারেননি। তার পিতার সংসারে এখন অভাব রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। গত শুক্রবার ঘরে আটকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি ফুলমতিকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। ফুলমতি গতকাল মায়ের সাথে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে এ ব্যাপারে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আসামি করে যৌতুক আইনে মামলা করেন।