স্টাফ রিপোর্টার: ভেতরের খবর না জেনে হঠাত করে আফগানিস্তানের পরিসংখ্যান দেখলে চমকে উঠতে হয়- ২৮টি ওয়ানডে ম্যাচে তাদের ১৬টি জয়! কিন্তু ঘটনা হলো, এ ২৮ ম্যাচের মধ্যে আফগানিস্তান মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলেছে বড় দলের বিপক্ষে; ৩টিই হেরেছে তারা। ফলে পরিসংখ্যানের বিচারে বা ফর্মের বিচারে অন্তত বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো অবস্থায় নেই আফগানিস্তান। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ আসলে তারা নিজেরাই।
ইনজুরি ও নিষেধাজ্ঞায় আজ মাঠে নামার আগেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে সেরা তিন ক্রিকেটারকে। ম্যাচ শুরুর আগেই কেবল জানা যাবে, অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও আজ খেলতে পারবেন কি-না। আর এ বিপর্যস্ত অবস্থা নিয়েই আজ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে। এশিয়া কাপে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুপুর ২টা থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। যথারীতি খেলা অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে।
আফগানিস্তান এখনও পর্যন্ত বড় কোনো দলের বিপক্ষে ওয়ানডে জিততে না পারলেও তারা যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকতে এসেছে, সে ঝলক তারা বারবারই দেখিয়েছে। এশিয়া কাপেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রবল শক্তিধর পাকিস্তানকে দফায় দফায় বিপদে ফেলে দিয়েছে তারা। যুব পর্যায়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ আফগানিস্তান। ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচকে এমনিতেই বাংলাদেশের হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে সামনে বিশ্বকাপে এ আফগানিস্তানই যখন প্রথম রাউন্ড পার হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা; তখন তাদের বিপক্ষে এশিয়া কাপে একটা জয় চাই-ই চাই বাংলাদেশের।
এ চাওয়ার পথে বাংলাদেশের অতিসাম্প্রতিক পারফরম্যান্স একটা বাধা বটে। গত বছর দু পরাশক্তিদের বিপক্ষে নিয়মিত জয় পেলেও এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হেরে চলেছে মুশফিকরা। ফলে আফগানদের হারানোর পথে একটা মনস্তাত্ত্বিক বাধা এমনিতেই পার করতে হতো। কিন্তু এখন সমস্যাটা শারীরিকও বটে। সিরিজ শুরুর আগেই ঘাড়ের ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন তামিম ইকবাল। সেইসাথে ইনজুরিতে না পড়েও অশোভন আচরণের জন্য এশিয়া কাপের প্রথম দু ম্যাচের জন্য অন্তত ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসানও; অর্থাত আজও তাকে পাওয়া যাবে না। এর সাথে গতকালই নিশ্চিত হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজাও সাইড স্ট্রেইনের কারণে এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে গেছেন। এরপর আবার অন্তত চার দফা চোট পাওয়া মুশফিকের খেলাও এখনও নিশ্চিত নয়! যদিও মাশরাফির বদলে বিকল্প হিসেবে সফিউলকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু কাল দলের সূত্রই জানালো, আজই তার পক্ষে মাঠে নামা সম্ভব হবে না। তার মানে মাশরাফির বদলে আল আমিনের মাঠে নামা নিশ্চিত। এরকম অবস্থায় অধিনায়ক মাঠে না নামতে পারলে ইমরুল কায়েস ছাড়া আর বিকল্প খেলোয়াড়ই নেই দলে! তবে এসব হতাশাকে পাশে রেখে দল এগিয়ে যাবে বলেই ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন কোচ। সেই আশায় বুক বাধা ছাড়া করারও কিছু নেই।