ডা. দেলওয়ারের স্মরণসভায় বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মকবুলার রহমান

 

প্রয়োজন অনুভূত হলেই স্মরণ করি প্রয়াত ব্যক্তিকে

‘যতোদিন তার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, ততোদিনই কেবল আমরা কোনো প্রয়াত ব্যক্তিকে স্মরণ করি। তাই আজকের এই স্মরণসভা স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের প্রিয় চিকিৎসক ডা. দেলওয়ারের কথা। তিনি সীমানা ছাড়িয়ে চলে গেলেও বড্ড প্রয়োজনে তার প্রিয়জনরা স্মরণ করছি তাকে।’ কথাগুলো বলেছেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মকবুলার রহমান। চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা জেলা লেখক সংঘের সভাপতি কবি প্রয়াত ডা. ওয়াহিদ আশরাফ দেলওয়ারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলা লেখক সংঘ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করনে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান। তিনি স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন কীর্তিমান ব্যক্তির মৃত্যু হয় না। সম্রাট শাহজাহান যেমন তার অমর কীর্তি তাজমহলের জন্য অমর হয়ে আছেন, তেমনি ডা. দেলওয়ার তার আর্তমানবতার সেবা ও ভালো কাজের জন্য বহুকাল বেঁচে থাকবেন।’

লেখক সংঘের সহ-সভাপতি ওমর আলী মাস্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণসভার শুরুতেই মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা মসজিদের ইমাম পেশ ইমাম মাও. মো. আবু দাউদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার রিনি, বিএমএ চুয়াডাঙ্গা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খান, দৈনিক মাথাভাঙ্গার বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা ও জীবননগরের কাজী পরিবারের সদস্য কাজী বদরুদ্দোজা। আলোচনায় অংশ নেন ডা. দেলওয়ারের জ্যেষ্ঠ পুত্র ডা. ওয়াহিদ মাহবুদ রবীন, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, আবুল কাশেম মাস্টার, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, আবুল কালাম আজাদ, রবিউল হোসেন সুকলাল, আ.ফ.ম  সিরাজ শামজী প্রমুখ। পরে সাহিত্য পাঠের আসর প্রতিধ্বনি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কবি-সাহিত্যিকগণ কবিতা-ছড়া পাঠ করেন।