দৌলতপুর প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকা থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি অভিযান চালিয়ে ১১ চোরাচালানীকে আটক করেছে। আটককৃতদের অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা দিয়ে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। তবে আটককৃতদের স্বজনরা জানায়, বিজিবি চোরাচালানীর নামে নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে গেছে।
বিজিবির মহিষকুণ্ডি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সাখাওয়াত জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ে আসার জন্য প্রায় ২০ মাদক ব্যবসায়ী ঠোটারপাড়া এলাকার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ৫০/৬০ জনের বিজিবি সদস্য অভিযান চালিয়ে আফজাল, ছেন্টু, আরিফ, দুলাল, পচা, সেন্টু, আকবর, নবীর, শিমুল, আসিক ও সিস্টিম নামে ১১ জনকে আটক করেন। আটককৃতদের অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা দিয়ে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। এদের সকলের বাড়ি পাকুড়িয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে। আটককৃত আফজালের পিতা আনিস মণ্ডল জানান, তার ছেলে প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বিজিবি। এরপর ব্লাকার বলে তাকে থানায় চালান দিয়েছে বিজিবি। এছাড়া আটক ব্যক্তিদের বাড়িঘর, টিভি, সোলার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তাদের স্বজনরা। সীমান্ত সংলগ্ন প্রাগপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হক গেদু ও রামকৃঞ্চপুর ইউপির চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক জানান, আটককৃতদের মধ্যে আনেক নিরীহ মানুষ আছে। যারা চোরাচালান বা কোনো অসামাজিক কাজে জড়িত নয়। তারা আরো জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি বিজিবির ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিজিবির ৩২ ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক মেজর তারেক মাহমুদ সরকার বলেন, আটককৃতরা সীমানা পেরিয়ে মাদকদ্রব্য আনার জন্য ভারতে যাচ্ছিলো। এর সাথে ২৬ তারিখের ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।