স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচনী সহিংসতায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সাদ্দাম হোসেন (২২) নামের ১ শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের গুলিতে ডুমুরিয়া গ্রামের যুবদল কর্মী মহিন গুলিবিদ্ধ হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নান্দিয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ভোটগ্রহণকালে দুপুর ২টায় কেন্দ্র দখলকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও ১৯ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালালে পুলিশের গুলিতে শিবিরকর্মী সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যান। নিহত সাদ্দাম স্থানীয় আন্দিরপাড়া গ্রামের হাজি বাড়ির জাহাঙ্গীর হোসেন খোকার ছেলে। সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদ জানান, নিহতের লাশ এলাকাবাসীর হেফাজতে রয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ লাশ উদ্ধার করেনি। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে ভোটকেন্দ্র দখল ও প্রার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও নাজেহাল করার অভিযোগে দুপুর ১২টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির পলাশ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল হাই সেলিম সংবাদ সম্মেলন করে আজ শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে। একই অভিযোগে কবিরহাট উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইলিয়াছ দুপুর ১টায় নির্বাচন বর্জন করেন এবং আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছেন।
অপরদিকে চাটখিল উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল হক আনোয়ার সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে কেন্দ্র দখল ও কারচুপির অভিযোগ এনে ১৯ কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে পুনঃ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন এবং এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামী রোববার চাটখিল উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছেন। সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান এবং পুলিশের গুলিতে নিহত সাদ্দাম হোসেন নিহতের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন। এ ঘটনায় নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে টেলিফোনে নির্দেশ পেয়ে তিনি সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করার নির্দেশ দেন। এদিকে সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা কেন্দ্রে কেন্দ্র দখলকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেফতার এবং সংঘর্ষ চলাকালে ৩ পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়।