মোমিনপুর প্রতিনিধি: স্বামীর পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সেনা সদস্যের স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা খাতুনকে নির্মমভাবে মারধর করে আহত করা হয়েছে বলে স্ত্রী আফরোজার অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আফরোজার অনাগত সন্তানকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চিকিৎসকরা অব্যাহত রেখেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দিগড়ি গ্রামের আজিজুর রহমানের বড় ছেলে আব্দুল আলীম ওরফে সানিম ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের একজন সেনা সদস্য হিসেবে চাকরি করছেন। ২ বছর আগে চুয়াডাঙ্গার কুলচারা গ্রামের তাহাজ্জত মালিথার একমাত্র মেয়ে আফরোজা খাতুনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আফরোজা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামী সেনাসদস্য সানিম প্রায় সাত মাস আগে একটি মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানার পর আমি একাধিকবার নিষেধ করায় আমার ওপর অত্যাচার করে আসছে। ২ মাস আগে শামীম আমাকে মারধর করে। আমাকে আমার বাপের বাড়তে পাঠিয়ে দেয়। কিছুদিন আগে ছুটিতে এসে গত পরশু বুধবার বিকেলে আমার বাপের বাড়ি কুলচারা গ্রামে আসে। পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি নিয়ে নিষেধ করতে গেলে গত পরশু রাত ২টার দিকে আমাকে মারধর করে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আমাকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে চায়। আমি যেতে না চাইলে লাঠি দিয়ে মারধর করলে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
গতকাল সকালে আফরোজার পিতা-মাতা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে স্ত্রী আফরোজাকে দেখতে এলে রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়ে আফরোজা। এ সময় সাংবাদিকরা আহত আফরোজার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সেনাসদস্য সানিম দুর্ব্যবহার করেন। হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সানিম হুমকি দিয়ে বলেন, এর আগে কতো ঝড় ঠেকালাম আর এখন এসব সাংবাদিকদের আমি কিছুই মনে করি না। আফরোজা তার অনাগত সন্তানকে নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন।