আলমডাঙ্গার আনন্দধামে ক্রেতা-বিক্রেতার বিরোধ তুঙ্গে : পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

 আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা আনন্দধামের জাহাঙ্গীর ও জব্বারের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। জমি কেনা-বেচা নিয়ে দুজনের বিরুদ্ধের জের ধরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উভয়পক্ষ। জাহাঙ্গীর বলেছেন, জব্বারসহ তার লোকজন গতপরশু বাড়িতে হানা দিয়ে লুটপাটসহ মারধর করেছে। অপরদিকে জব্বার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, জমি বিক্রি করলেও পুরোটা দখল না দিয়ে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানি করছে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার নূরুল ইসলামের ছেলে রোকনুজ্জামান, সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুল মান্নান, এরশাদপুরের মৃত আবু বকরের ছেলে আবুল কাশেম, মৃত ছাদেক আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ও আনন্দধামের মৃত রইচ উদ্দীন মিয়ার ছেলে আব্দুল জব্বার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, আনন্দধামের মৃত ইউনুস চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম দানসূত্রে ৭২ নং গোবিন্দপুর মৌজায় ৭৭৭৫ দাগে ২৫ শতক ৮৭পয়েন্ট ও ৭৭/৭৮ নং ডাউকি মৌজায় ১৫ দাগে ১১ শতক সম্পত্তির মালিক হন। এ জমি বিভিন্ন সময়ে তাদের ৬ জনসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে জাহাঙ্গীর আলম খাসকবলা মূলে জমি বিক্রি করে ক্রয়কৃত মালিকদের বুঝে দেন। এদের মধ্যে আব্দুল জব্বারের নিকট ১০ শতক ৮৪ পয়েন্ট জমি বিক্রি করলেও তিনি সরেজমিনে বুঝে পান ৯ শতক ৫০ পয়েন্ট জমি। বাকি ১ শতক ৩৪ পয়েন্ট দখলে পাননি। লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়েছে এসব ক্রয়কৃত জমির মালিকদের হয়রানি করার জন্য জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রীকে দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করিয়েছেন।

অপরদিকে জাহাঙ্গীর অভিযোগ তুলে বলেছেন, আমার নিকট জব্বার চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় বুধবার সকালে জব্বারসহ তার লোকজন আমার বাড়িতে হানা দেয়। তিনি বলেন, আনন্দধামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে জব্বার আলী, জব্বারের ছেলে শুভ, এরশাদপুরের  মৃত ভোলার ছেলে জাফর আলী, আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার সামসুদ্দিনের ছেলে মান্নান, আবু বক্করের ছেলে আবুল কাসেম, হাউসপুরের বশির মণ্ডলের ছেলে আবদার আলী ও বিনোদপুরের দাউদ আলীর ছেলে লিটন গত বুধবার সকাল ৭টার দিকে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার স্ত্রী আমেনা খাতুন এবং শিশুসন্তান তৌকিককে পিটিয়ে আহত করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও গয়নাগাটিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে আমার ও আমার স্ত্রী আমেনা খাতুনকে চোখ ও হাত-পা বেঁধে একটি আলমসাধুযোগে অপহরণ করে ছত্রপাড়া নাটানা ব্রিজের কাছে তিনটি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা করতে গেলে থানার ওসি মামলা নেননি। জাহাঙ্গীর বলেছেন, পুলিশ মামলা নিলো না, আমি ওদের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছি না। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রধান কার্যালয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।