লাশের অপেক্ষায় মরহুমের পরিবার
মোমিনপুর প্রতিনিধি: পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে ২ সন্তানের জনক সরিষাডাঙ্গা গ্রামের হাসিবুল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার আসামি হয়ে তিন মাস আগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে যায়। কিছুদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর খুলনা ২৫০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে হাজতি হাসিবুল মৃত্যুবরণ করেন। হাসিবুলের লাশ নিয়ে আসার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ দ্রুত নেয়া হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেতারবার্তায় খবর পাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ হাসিবুলের মৃত্যুর খবর তার বাড়িতে জানায়। হাসিবুলের মৃত্যুর খবর শোনার পর তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাসহ স্ত্রী-সন্তান কান্নায় ভেঙে পড়ে। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা ক্যানালপাড়ার মনির উদ্দীনের ছেলে হাসিবুল ইসলাম (৩৫) চুয়াডাঙ্গা জিনতলা মল্লিকপাড়ার আব্দুল কাদের মেয়ে রোজি খাতুনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরকীয়ায় জড়িয়ে হাসিবুল তার প্রেমিকা রোজিকে নিয়ে একবার ঢাকায় পালিয়েও যায়। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দিনের পর দিন ছলচাতুরি করার এক পর্যায়ে রোজি চুয়াডাঙ্গা আদালতে হাসিবুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। তিন মাস আগে এ মামলায় হাসিবুল গ্রেফতার হয়। হাসিবুল কতোদিন আগে অসুস্থ হয় বিস্তারিত আরো কিছু জানতে চাইলে রহস্যজনক কারণে হাসিবুলের স্ত্রী তাসলিমা খাতুনসহ পরিবারের কেউ কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। হাসিবুলের একমাত্র মেয়ে নদী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ও একমাত্র ছেলে নয়নের বয়স তিন বছর। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার আসামি হাসিবুলের মামলাটি বিচারাধীন ছিলো। আজ বুধবার তার লাশ নিজ গ্রাম সরিষাডাঙ্গায় দাফন হবে।