মোমিনপুর প্রতিনিধি: চতুর্থ শ্রেণির তিন ছাত্রীকে দিয়ে জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের টয়লেট পরিষ্কার করিয়ে নেয়ার ঘটনায় এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম তদন্তকাজ সম্পন্ন করেছে। গতকাল সোমবার সকালে অভিভাবকমহল উপস্থিত জনগণ এবং সাংবাদিকদের সামনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম তাজকীর আহমেদ ওই তিন ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। উত্তেজিত অভিভাবক এবং এলাকাবাসী তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে জানান, অভিযুক্ত দপ্তরি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবো না। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনকারী অভিভাবকরা গতকালও তাদের সন্তানদের স্কুলে যেতে দেননি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের মাজহাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আরেফিন আলম উজ্জ্বল গত শনিবার দুপুরে চতুর্থ শ্রেণির তিন ছাত্রী সাদিয়া আক্তার, সুমাইয়া খাতুন ও হাবীবা আক্তারকে দিয়ে বিদ্যালয়ের টয়লেটের মলমূত্র পরিষ্কার করিয়ে নিলে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা অভিযুক্ত দপ্তরি এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সেই সাথে ছাত্রছাত্রীকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন।
গতকাল সোমবার দৈনিক মাথাভাঙ্গায় ছাত্রীদের দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করিয়ে নেয়ার বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হলে শিক্ষা অফিসের দৃষ্টিগোচর হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্তটিম গঠন করেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তদন্তটিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।