দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদার কুনিয়া চাঁদপুর দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী নাপিতখালী গ্রামের শফি হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধার করতে পেরেছে। মোবাইলফোনের আলাপচারিতায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
জানা গেছে, কুনিয়া চাঁদপুর দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী নাপিতখালী গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে শফি উদ্দীনকে (৪২) গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে বাড়ির অদূরে মাঠের মধ্যে মোবাইলফোনে কথা বলা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা তাকে মুখমণ্ডলে ও মাথায় এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে খুন করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইলফোন উদ্ধার করে। পরদিন তার ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। খুনের রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশ ব্যাপক তৎপর হয়ে ওঠে। তার ব্যবহৃত মোবাইলফোনের সিম ট্র্যাকিং করতে পাঠায়। পুলিশ জানায়, শফি প্রায় বছর দেড়েক থেকে একটি নম্বরে রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন একজনের সাথে। আর এ কথা বলার কারণে শফিকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত।