চুয়াডাঙ্গার একটি বেঁদে পল্লির কিশোরীকে বখাটেদের উত্ত্যক্ততা :প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ যুবকদের হামলা : ৫ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার নুরনগর গ্রামের মনি ফকিরের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। একদল যুবকের সশস্ত্র হামলায় মনি ফকিরের ছেলে-মেয়ে, জামাইসহ ছোট ভাইয়ের স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। বেঁদে পল্লির লোকজনকে থানায় নিয়ে গিয়ে আইনি সহযোগিতা দেয়ার অভিযোগে মনি ফকিরের বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না মনি ফকির।

অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ মাস আগে চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালের অদূরে নুরনগর বিএডিসি ফার্মের পাশে একদল বেঁদে এসে তাঁবু গাড়ে। বেঁদে পল্লির এক কিশোরীকে বেশ কিছুদিন ধরে কতিপয় বখাটে যুবক উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বখাটে যুবকেরা বেঁদে পল্লিতে গিয়ে ওই কিশোরীকে তুলে আনার চেষ্টা করে। এ সময় বেঁদে পল্লির সদস্যরা একজোট হয়ে সাদ্দাম নামের এক যুবককে আটক করে স্থানীয় রহিমের চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে গণ্যমান্য লোকের কাছে যুবককে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বেঁদেরা তাদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে মনি ফকিরকে সাথে নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে আসে। এতে কতিপয় যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনি ফকিরের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে মনি ফকিরের ছেলে তোতা মিয়া (২০), মেয়ে সুরাতন নেছা (৩৫), জামাই হাসানুর রহমান (২৩) ও মনি ফকিরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কিতা বানু (৩৫) আহত হন। মনি ফকির অভিযোগ করেন ‘নুর নগর কলোনিপাড়ার কালু ড্রাইভারের ছেলে সাদ্দাম, মিজার ছেলে জিনা, সাজিদের ছেলে সন্টুসহ ৫ জন আমার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।’

আহতদের মধ্যে হাসানুর রহমান ও কিতা বানুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিতা বানুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বেদম পিটিয়ে ও দলেচটকে আহত করা হয় বলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।