আলমডাঙ্গা ব্যুরো: প্রতারণা করে অন্যের টিটির টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় দামুড়হুদার দুধপাতিলা গ্রামের মাদকব্যবসায়ী কালুকে আলমডাঙ্গার সোনালী ব্যাংক থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্যসহ ৩টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও ব্যাংকসূত্র জানায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধামের শাহ এগ্রো লিমিটেডের কর্মচারী পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে মিরাজুল ইসলাম তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে একটি টিটি করেন। ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ঢাকার গুলশান নিউ নর্থ সার্কেল স্পেক্টা হেক্সা ন্যামসাই কোম্পানি লিমিটেডের নামে টিটি করে তিনি দ্রুত বের হয়ে যান। আগে থেকে ব্যাংকে ওঁত পেতে থেকে টিটি করার বিষয়টি ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করে এক যুবক। প্রতারক যুবক মিনারুলের নিকট থেকে কৌশলে টিটির ভাউচার চুরি করে। পরে টিটিকারীর ভাই পরিচয় দিয়ে ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট গিয়ে ভাউচার দেখিয়ে বলে, টিটি করার প্রয়োজন নেই। টিটি বাতিল করে যুবক ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে বলে। তার কথায় সন্দেহ হলে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার শাহ এগ্রো লিমিটেডের মালিক হামিদুল ইসলাম শাহকে ফোন করে বুঝে ফেলেন তিনি যা আশঙ্কা করেছেন তা অমূলক নয়। সে সময় ব্যাংক স্টাফ ওই প্রতারক যুবককে আটকে রেখে পুলিশে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ প্রতারক যুবককে থানায় নেয়। জিজ্ঞাসাবাদকালে যুবক তার নাম সাইদুর রহমান কালু ও বাড়ি দর্শনা হঠাতপাড়ায় বাড়ি বলে জানায়। পুলিশ সেখানে সংবাদ নিয়ে জানতে পারে কালুর দেয়া ঠিকানা মিথ্যা। পরে উপর্যুপরি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে আসল পরিচয়। সে দামুড়হুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। নাম সাইদুর রহমান কালু। সে সময় কালু পুলিশের নিকট আরও স্বীকার করে যে, ইতঃপূর্বেও সে কৃষি ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতারণা করেছে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জেনেছে, কালু এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য আইনসহ ৩ টি মামলা রয়েছে।