শেষটা হেরে বিদায় বাংলাদেশের

স্টাফ রিপোর্টার: আফগানিস্তান ও নামিবিয়াকে হারিয়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে এক পা দূরে ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭৪ রানে হেরে ছিটকে যেতে হলো লাল সবুজদের। আফগানদের ১০ উইকেট হারানোর পর নামিবিয়ার বিপক্ষে ৫২ রানের জয়। টানা দুটি সাফল্যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শেষ আটে পৌঁছানোর কথা ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু আফগানিস্তান নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারিয়ে দিলে বিপত্তি বাধে। শেষ ম্যাচই হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য জীবন মরণ। অসি যুবাদের বিপক্ষে জিতে গেলে অনায়াসেই চলে যেতে পারতো মেহেদীর দল। হেরে গেলেও সম্ভাবনা ছিলো যদি নামিবিয়ার কাছে আফগানিস্তান হেরে যেতো। কিন্তু আফগানরা শেষ ম্যাচে ১৪৭ বল বাকি থাকতে নামিবিয়াকে চার উইকেটে হারিয়ে রান রেটের জটিল হিসাব নিকাশে ফেলে দিলো। আর দারুণ সূচনা করার পরও এর বলি হতে হলো বাংলাদেশকে। রান রেটে বি গ্রুপে সমান চার পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন ও আফগানিস্তান রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো। আর বাংলাদেশের বিদায় হলো এখানেই। আবুধাবিতে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ফিল্ডিং নিয়ে ৬১ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার চারজন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান। কিন্তু বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় জ্যাক ডোরান। অধিনায়ক অ্যালেক্স গ্রেগরিকে (৪৮) নিয়ে ১০৫ ও জেজ বাজলের সাথে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। থমাস এন্ড্রুসকে নিয়ে ডোরানের ৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিও গুরুত্বপূর্ণ। দলের সংগ্রহে ভালো অবদান রাখা এ ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকলেও আক্ষেপ থেকে গেলো। ১৭ বছর বয়সী  এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৯৯ রান করেন শেষ বল পর্যন্ত, ম্যাচসেরাও হলেন। ওপেনার ম্যাথু শর্ট ৩৬ রান করেন।
নিহাদুজ্জামান সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। লক্ষ্যে নেমে সাদমান ইসলাম ও লিটন দাসের ৭০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জয়ের পথে ছিলো বাংলাদেশ। লিটন দ্বিতীয় সেরা ৪৩ রান করে আউট হন। মোসাদ্দেক হোসেন (২৯) দলীয় ১২৮ রানে আউট হলেই ধস নামে পুরো ব্যাটিং লাইনআপে। সাদমান ব্যক্তিগত ৪৯ রানের সেরা ইনিংস খেলে আউট হন। থমাস এন্ড্রুসের জোড়া আঘাতের পর বেন অ্যাশকেনাজির আঘাতে আর এগোতে পারেনি দল। মেহেদী ও মুস্তাফিজুর রহমানকে সাজঘরে পাঠিয়ে গাই ওয়াকার ৪৮ বল বাকি থাকতে ১৭০ রানে গুটিয়ে দেন বাংলাদেশকে।