একুশের চেতনায় জাগ্রত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে হবে

দর্শনায় একুশে মেলায় গুণজন সংবর্ধনা ও আলোচনাকালে বক্তারা

 

দর্শনা অফিস: একুশ তোমার জন্য, বাংলা বিশ্বে বরেণ্য এ প্রতিবাদ্যকে বুকে ধারণ করে প্রতি বছরের মতো এবারো অনির্বাণ থিয়েটার একুশে মেলার আয়োজন করেছে। ৭ দিনব্যাপি এ মেলার গতকাল ৪র্থ দিন ছিলো। দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটারের আয়োজনে কলেজমাঠে অনুষ্ঠিত মেলায় প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান, নাটক ও আলোচনাসভা। গতকালের আয়োজনের ছিলো ভিন্নতা। আলোচনাপর্ব শুরুর আগেই বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার লিয়াকত আলী ও রাশেদুন নাহারকে গুণীজন সংবর্ধনা দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিতদের উত্তরিয়া পরিয়ে দেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। এ সময় দর্শনার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দু গুণীজনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন- কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আজিজুর রহমান, কমরেড শহিদুল ইসলাম, সবুর প্রমুখ। অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন- দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা হাজি জয়নাল আবেদীন, শফিকুল আলম প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ২১ মানে শোকের মাস, হারানো ভাইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার মাস, দীপ্ত শপথের মাস। সামাজিক অবক্ষয় রোধে দৃঢ় অঙ্গীকার, গোটা বাঙালি জাতির গর্ব ও অহঙ্কার। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মায়ের কথা রাখতে যে অকুতোভয় বাংলার দামাল ছেলেরা, কৃষক, শ্রমিক, সাংস্কৃতিককর্মী, পাক শাসকের ১৪৪ ধারা ভেঙে ভাষার দাবিতে রাজপথে নেমেছিলো। পাকিস্তান সরকারের পেটুয়া বাহিনীর ব্রাশফায়ারে অকাতরে জীবন দিয়ে, ফিরিয়ে এনেছিলো মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। এ জাতি কখনো ভুলবেনা তাদের অবদানের কথা। শেষে অনির্বাণ থিয়েটারের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয় নাটক সুরত।