স্টাফ রিপোর্টার: গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব আগে থেকেই ছিলো বিইআরসির কাছে, এ নিয়ে শুনানিও হয়েছিলো, তবে ভোটের আগে এনিয়ে আর এগোয়নি সরকার। এখন বিদ্যুতের দাম নিয়ে নতুন করে শুনানির উদ্যোগের মধ্যে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিইআরসি সদস্য সেলিম মাহমুদ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, খুচরা বিদ্যুতের দামের বিষয়ে এ মাসের মধ্যে শুনানি হবে। আর গ্যাসের দাম নিয়ে শুনানি দু মাসের মধ্যে হতে পারে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ খাতে ভর্তুকির চাপের কথা তুলে ধরেন। গ্যাসের ক্ষেত্রে সিস্টেম লস ও দাম সমন্বয়ের কথা বলেন তিনি। অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যের তেলভিত্তিক ভাড়া বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা বাড়ার পর গত পাঁচ বছরে খুচরা ও পাইকারি মিলিয়ে ১১ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। তারপরও বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১২ সালে ডিসেম্বরে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।
২০১২ সালে সেপ্টেম্বরে খুচরা বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং পাইকারির দাম ১৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। পুনরায় দাম বাড়লে বিদ্যুতের ২৬ লাখ ৫৪ হাজার গ্রাহককে বাড়তি অর্থ গুণতে হবে।