ফিল্মিস্টাইলে ডাকাতি : উদ্ধার হয়নি ডাকাতি করা টাকা ও সোনার গয়না

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা জনপদে ডাকাতি আতঙ্ক চরমে : সন্দেহভাজন দুজনকে ধরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

 

কার্পাসডাঙ্গা/দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা জনপদে ডাকাত আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। গতপরশু রাত সাড়ে ৮টার দিকে কার্পাসডাঙ্গার এমএম ফিলিং স্টেশনের মালিক বিশিষ্ট হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী আব্দুল মালেকের বাড়িতে ফিল্মিস্টাইলে ডাকাতির পর আতঙ্কের মাত্রা বহুলাংশে বেড়েছে। পুলিশ এ ডাকাতির সাথে জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করলেও ডাকাতি হওয়া টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করতে পারেনি।

আব্দুল মালেক বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় গতকাল একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, আব্দুল মালেক ডাকাতদলের ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পক্ষে এজাহারটি গতকাল তারই ভগ্নিপতি শহিদুল ইসলাম দামুড়হুদা থানায় দাখিল করেন। নগদ ২ লাখ টাকা, ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার সোনার গয়না ডাকাতি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ডাকাতদলের তেমন কাউকে চিনতে পারেননি। তবে তাদের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সাথে ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার ও দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ।

গতপরশু রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডাকাতির সময় আব্দুল মালেককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। পিটিয়ে আহত করা হয় তার দোকান কর্মচারী সোহাগকে। ডাকাতি শেষে ডাকাতদল পালানোর সময় পরপর ৬টি বোমা নিক্ষেপ করে। গৃহকর্তা আব্দুল মালেক তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে তিনটি গুলি ছোঁড়েন। গুলির ছররায় আহত হন আরামডাঙ্গার রবিউল। তার কানে ছররা লাগে। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কার্পাসডাঙ্গা খাবলিপাড়ার শামসুল হকের ছেলে আজগার আলী ও একই পাড়ার নূর ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের হিরককে গ্রেফতার করে। আজগার গৃহকর্তা আব্দুল মালেকের খোয়াভাঙ্গা গাড়ির চালক। এদেরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে কোনো তথ্য উন্মোচন হয়নি। মামলার বাদী পক্ষের তরফে এদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগও আনা হয়নি।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলায় একের পর এক খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বোমা হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। জনপদের মানুষ চরম জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।