চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সরকারি ওষুধ নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা ঠিকমত ওষুধ পাচ্ছে না। বেশ কিছু দিন ধরে এ সমস্যা চলে আসলেও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই। গতকাল রোববার হাসাপাতালে সরেজমিন গেলে দেখা যায় কিছু কিছু ওষুধ ডাক্তারদের চেম্বারে ড্রাগলিস্টে নেই; কিন্তু কাউন্টার ড্রাগলিস্টে ঠিকই আছে। যেমন অ্যাজিথ্রমাইসিন চিকিৎকদের চেম্বারে ড্রাগলিস্টে নেই; কিন্তু কাউন্টার ড্রাগলিস্টে ঠিকই আছে। এ কারণে ডাক্তারেরা বাইরে থেকে ওষুধ কেনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন রোগী সাধারণকে। এতে সাধারণ রোগী প্রতারিত হচ্ছে। শুধু তাইই নয় এন্টাসিড ও রেনিটিড প্রতিমাসের ২/৩ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। অভিযোগকারীরা জানায়, শোনা যায় এন্টাসিড ও রেনিটিড পর্যপ্ত থাকে; কিন্তু প্রয়োজন হলে রোগী সাধারণ পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্টাফ জানালেন, সব ভালো ভালো ও দামি ওষুধ চলে যায় কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাসায়। আর ওয়ার্ডের দামি ওষুধ তো সাধারণ রোগীরা কোনোদিন ছুঁয়েও দেখার সুযোগ পায় না। অথচ সাধারণ রোগীর নামেই তা বিলি-বিতরণ দেখানো হয়ে থাকে। ওয়ার্ড ইনচার্জের চাহিদা মতো ওষুধ স্টোরকিপার খাতা কলমে ঠিকই দেন; কিন্তু বাস্তবে তা নাকি পুরোপুরি দেয়া হয় না। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালের কয়েকজন ওয়ার্ড ইনচার্জ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের সব ওষুধ হাসপাতালে থাকলেও তা বাইরে থেকে কেনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু হাসপাতালের খাতা-কলমে রোগীরা ঠিকই ওষুধ পেয়ে থাকেন। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের ওষুধ ব্যবহার করে কেউ নাকি নিজ এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করেন। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে ভুক্তভোগীরা আশা করে।