দৌলতপুর প্রতিনিধ: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর ট্রাজেডি দিবস আজ। ১৯৯৯ সালের এদিনে উপজেলার কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় বক্তৃতাকালে সন্ত্রাসী চরমপন্থিদের ব্র্যাশফায়ারে নিহত হন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরেফ আহমেদ, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের তৎকালীন সভাপতি লোকমান হোসেন, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও শমসের মণ্ডল। এ হত্যাকাণ্ডের পর দৌলতপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসাহক আলী বাদী হয়ে ২১ জন চরমপন্থি ও রাজনীতিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হলে সিআইডি তদন্ত শেষে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লাসহ ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৩০ আগস্ট কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ চরমপন্থির ফাঁসি, ১২ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩ আসামিকে খালাস প্রদান করেন। সে সময় ২ আসামি মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি এবং সে সময়ের চারদলীয় জোট সরকার বিএনপি নেতা রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ও নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লার নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করায় তাদের বিচার কাজ স্থগিত করে রাখা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে।
কাজী আরেফ আহমেদসহ ৫ জাসদ নেতার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১৬ ফেব্র“য়ারি দৌলতপুর উপজেলার পিএম কলেজমাঠে শহীদ ইয়াকুব আলী ট্রাস্ট দিনব্যাপি কর্মসূচির আয়োজন করেছে। অপরদিকে কুষ্টিয়া জেলা জাসদ ও শহীদ লোকমান হোসেন ফাউন্ডেশন পৃথকভাবে স্বরণসভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে।