ফলোআপ: জামজামির ভোদুয়ায় নৃশংসতার শিকার শিশু সুজন চিকিৎসাধীন
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ৭ বছরের শিশু সুজনকে মিষ্টি কিনে দেয়ার নাম করে মাঠে নিয়ে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অপচেষ্টাকারী আলামিনকে ধরে বেধড়ক পিটিয়েছে গ্রামবাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৭ বছরের শিশুকে মিষ্টি কিনে দেয়ার কথা বলে মাঠে ডেকে নিয়ে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা অপচেষ্টার সংবাদ দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সোহাগপুর-ভোদুয়া এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গতকাল দুপুরের পর এলাকাবাসী তাকে বাড়ি থেকে ধরে বেদম মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
জামজামি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জামজামি সোহাগপুরের মধ্যবর্তী ভুবড়ার মাঠের একটি পানবরজ থেকে ধরে। শুরু করে মারপিট। আলামিনের ধরাপড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমে। ভুবড়ার মাঠে এসে জড়ো হতে থাকে অসংখ্য মানুষ। শিশু শ্যালক হত্যা অপচেষ্টাকারী অভিযুক্ত ভগ্নিপতি কুরফা আলামিন জনরোষে পড়ে। গণপিটুনিতে কাবু হয়ে পড়ে সে। স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেয়া হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে আলামিন (২৫) ছোট বেলা থেকেই তার খালু আলমডাঙ্গার সোহাগপুর গ্রামের মুরাদ আলীর বাড়িতে বসবাস করে আসছে। কয়েকবছর আগে সে ধুলিয়া গ্রামে বিয়ে করেছিলো। বউ পছন্দ না হওয়ায় সে ওই বউকে তালাক দেয়। এ ঘটনার ৬ মাস যেতে না যেতেই সে আবার কাবিলনগর গ্রামের আতিয়ারের মেয়ে লাকী খাতুনকে বিয়ে করে। সম্প্রতি ২য় বউ লাকী খাতুনের গায়ের রঙ কালো এ অভিযোগ তুলে তাকেও তালাক দেয়ার অপচেষ্টা করে আসছিলো। বিষয়টি জানতে পেরে গত বুধবার লাকী খাতুনের মা ছোট ছেলে ৭ বছরের সুজনকে সাথে জামাই আলামিনের নিকট বেড়াতে যায়। গত পরশু সকালে অবুঝ সুজন দুলাভাই কেন তাকে মিষ্টি কিনে দেচ্ছে না বলে জ্বালাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে আলামিন তাকে মিষ্টি কিনে দেয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুটা নির্জন স্থান দেখে মাঠের মধ্যে ৭ বছরের শিশু আলামিনের গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সুজনের চিৎকারে সে সময় মাঠের কয়েকজন কৃষক ছুটে গিয়ে তাকে রক্ষা করে। এ হত্যা অপচেষ্টার পর থেকে আলামিন পলাতক। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।