বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি: কোম্পানি প্রতিনিধির অতি আগ্রহ নানা প্রতিশ্রুতিতে মাছের দীঘিতে মাছের জন্য ক্ষতিকর সকল প্রকার পোকামাকড় নিধনের জন্য বিষপ্রয়োগ করে চার লক্ষাধিক টাকার মাছ মারা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের মামুনশিয়া গ্রামের মাছচাষি আব্দুস সোবাহানের দীঘিতে। আব্দুস সোবাহান মামুনশিয়া গ্রামের ভীটেরপাড়ার মৃত আজগর আলী মোল্লার ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষি আব্দুস সোবহান জানান, ইয়ন এনিমেল হেলথ্ প্রোডাক্টস কোম্পানি প্রতিনিধি সাজেদুর রহমানের অতিআগ্রহ এবং নানা প্রতিশ্রুতিতে এনগ্রেব নামক (সাইপারমেথ্রিন) পণ্য দীঘিতে তিনি উপস্থিত থেকে গত রোববার দুপুরে প্রয়োগ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাছগুলো ছোটাছুটি শুরু করে। প্রতিনিধি সাজেদুর রহমান জানান, তার দীঘিতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এখন দীঘিতে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তার কথা মতো শ্যালোইঞ্জিন চালু করে দীঘিতে পানি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সাজেদুর রহমান বলেন, আমার বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যাবে। মোবাইলফোনে যোগাযোগ থাকবে, কোনোপ্রকার ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। সকালে সোবহান দীঘিতে এসে দেখেন ছোট-বড় প্রায় ৮০ মণ মাছ মরে পানিতে ভেসে আছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা বলে দাবি করেন সোবাহান। তখনই তিনি কোম্পানি প্রতিনিধি সাজেদুরের নিকট মোবাইলফোন করে ঘটনার কথা জানান। তখন প্রতিনিধি বলেন, ‘যে সকল মাছ বিক্রি করা যায় তা বিক্রি করে দেন। আমি দুপুরে (সোমবার) আসছি। আপনার অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।’ এ বিষয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এ বিষয়ে কোম্পানির রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার প্রিন্সের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। তাছাড়া এ নামের কোনো অফিসার তার এরিয়ায় নেই। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই মৎস্যচাষি বা তার পক্ষে কোনো লোক আমাকে অবহিত করেনি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।