স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়াসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়ক থেকে শ্যালোইঞ্জিনচালিত তিন চাকার বাহন নসিমন, করিমন, ভটভটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (মহাসড়ক) এবং বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলার পুলিশ সুপারকে এক সপ্তার মধ্যে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এ বিষয়ে দু সপ্তার মধ্যে তাদের প্রতিবেদন আদালতে দিতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে মোটরযান চালানোয় অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে মোটরযান অধ্যাদেশ অনুসরণ করতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। ওই ১০ জেলায় নসিমন, করিমন, ভটভটি নামের অবৈধ ও অকার্যকর যানবাহন চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, উপমহাপরিদর্শক (হাইওয়ে), ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক), বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান এবং ১০ জেলার পুলিশ সুপারকে দু সপ্তার মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ গত ৯ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনটি করেন। এতে বাদী হিসেবে রয়েছেন আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী। বাদীপক্ষে মনজিল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান আদালতে শুনানি করেন। মনজিল মোরসেদ শুনানিতে বলেন, এসব বাহন অবৈধভাবে মহাসড়কে চলাচল করায় প্রতিদিন বহু যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে এবং শ শ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ অবৈধ যানবাহন নসিমন করিমন ভটভটি শিরোনামে গত ১৫ নভেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও এ রিট আবেদনের সাথে যুক্ত করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে ওই ১০ জেলায়ই এ ধরনের যানবাহন চলাচল করে। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিভিন্ন সময়ে মহাসড়কে এসব বাহন না চালাতে হুঁশিয়ার করেছেন। মহাসড়কে নসিমন-করিমন চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘটও করেছেন বাসমালিক-শ্রমিকরা। তবে প্রায় প্রতিদিনই অন্য যানের সাথে সংঘর্ষে বা নসিমন-করিমন উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।