মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচিতে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসাকারী এক পীরের বাড়িতে বন্দুক হামলায় আট বছরের এক শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় পীরসহ আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১২ জন। গত রোববার রাতে পীর মেহেরবান শাহের বাড়িতে হামলাটি চালানো হয় বলে জানা গেছে। বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেলে করে এসে পীরসহ দরগায় উপস্থিত লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। সুফিসাধক পীর মেহেরবানের পেটে গুলি লাগলেও তিনি বেঁচে যান। পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইরাফান বালুচ বলেছেন, তিনটি মোটরসাইকেলে ছয়জন লোক এসে বাড়িটিতে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে তারা। হামলাকারীরা নাইন এমএম পিস্তল ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ অস্ত্রটি করাচির পূর্বপরিকল্পিত ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডগুলোতে ব্যবহার করা হয়। কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। হামলার আগে কেউ তাকে কোনো ধরনের হুমকি দেয়নি বলে বলেছেন পীর মেহেরবান। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরে বিদ্যুত চলে যাওয়ার সাথে সাথে হামলকারীরা বাড়িতে ঢুকে গুলিবর্ষণ শুরু করে বলে জানিয়েছেন তিনি। এক কোটি ৮০ লাখ অধিবাসীর করাচি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর। বছরের পর বছর ধরে শহরটি সাম্প্রদায়িক, জাতিগত ও রাজনৈতিক সহিংসতায় ভূগছে।