সেকেন্দারের বাড়ি থেকে শিমুলের মোবাইলফোন উদ্ধার

ফলোআপ : চুয়াডাঙ্গা ছয়ঘরিয়ার কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের পথে

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রেম সম্পর্কের জের ধরেই চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ছয়ঘরিয়া কচুখালীপাড়ার কলেজ ছাত্র শিমুলকে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার দিনগত রাত ১০টার দিকে গ্রাম সংলগ্ন মুচিতলা মাঠে তাকে চাদর দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর সহায়তায় সন্দেহভাজন একই গ্রামের সেকেন্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার দুপুরে সেকেন্দারের স্বীকারোক্তিতে একই পাড়ার মোসারফ ওরফে মোসাকে গ্রেফতার এবং শনিবার দিনগতরাত ৩টার দিকে সেকেন্দারের সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই রবিউল ইসলাম, সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সেকেন্দার, পিএসআই জিয়া, পিএসআই জসিমসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার শোবার ঘর থেকে শিমুলের ব্যবহৃত সিমফনি বি ফোরটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার সেকেন্দার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আমিনুল ইসলামের নিকট। অপরদিকে মোসারফকে গতকালই আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিহত শিমুলের পিতা বাদী হয়ে ছয়ঘরিয়া গ্রামের শাহাজাহানের ছেলে সেকেন্দার ও তোফাজ্জেলের ছেলে মোসাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে।

জাবানবন্দিতে বলেছে, আমার সাথে আমাদেরই গ্রামের একটি মেয়ের দীর্ঘ ২/৩ বছর ধরে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। হঠাত করে আমারই গ্রামের বন্ধু শিমুলের সাথে ওই মেয়ে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমি বেশ কিছুদিন পরিকল্পনা করি শিমুলকে হত্যা করলে আমার প্রেমিকাকে আমি ফিরে পাবো। তাই আমিসহ কয়েকজন মিলে সুযোগ খুঁজতে থাকি শিমুলকে হত্যা করার। শুক্রবার রাতে পিকনিক করে আমি ও কয়েকজন মিলে শিমুলকে গ্রাম সংলগ্ন মুচিতলার নির্জন এলাকায় ডা. আবুল হোসেনের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাকে চাঁদর দিয়ে মুখ বেঁধে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করি। তারপর আমার বাড়ি থেকে কোঁদাল নিয়ে গিয়ে ভূট্টাক্ষেত খুঁড়ে তাকে মাটি চাপা দিয়ে রাখি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই রবিউল ইসলামের কাছে হত্যাকাণ্ডে কয়জন ছিলো বা আরও কারা জড়িত এবং কোন মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।