স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দু বছর পেরোচ্ছে আগামীকাল ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার। মামলার তদন্তে গুরুত্ব দিতে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ও করা হয়েছে। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য আলামত পাঠানো হয়েছে সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি আর ম্যানুয়ালি তদন্ত চলছে দেশে। সন্দেহভাজন হিসেবে শতাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সাংবাদিক দম্পতির পারিবারিক বন্ধু তানভীর এবং দুই নিরাপত্তাকর্মী এনামুল ও পলাশ রুদ্র পালকে। এছাড়া এ মামলায় আরও পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। হত্যাকাণ্ডের দু বছর শেষে তবু তদন্তের ফলাফল শূন্য। গতকাল পর্যন্ত সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য বা খুনিদের শনাক্ত করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা ৱ্যাব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৱ্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য কিছু আলামত পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সে প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি ও ম্যানুয়ালি পদ্ধতিতে তদন্ত করা হচ্ছে। গত ২০১২ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারির ভোরে পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। চার দিনের মাথায় মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের ৬২ দিনের মাথায় উচ্চ আদলতে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। পরে উচ্চ আদালতের এক আদেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি ৱ্যাবে হস্তান্তর করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ৭৬ দিনের মাথায় ওই বছরের ২৬ এপ্রিল পুনঃময়নাতদন্তের জন্য সাগর-রুনির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এ সময় তদন্ত সংস্থা ৱ্যাব আরও কিছু আলামতসহ লাশের ভিসেরা নমুনা সংগ্রহ করে। এছাড়া একই বছর ১২ই জুন মাসে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাগারে আলামত পাঠানো হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রথম দফায় কিছু প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন। তবে এখন পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার অপেক্ষা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শেষ ভরসা এখন ডিএনএ প্রোফাইলিং। কিন্তু ডিএনএ প্রোফাইলিং শেষে এ মামলার রহস্য উদঘাটন হবে কি-না তাও সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যেই পথে আশার আলো দেখা যাবে সে পথ ধরেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। ৱ্যাবের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১২ই জুন ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাগারে কিছু আলামত পাঠানো হয়। ওই গবেষণাগারটি এ ধরনের আলামত থেকে ডিএনএ নমুনা বের করার ক্ষেত্রে সুনাম অর্জনকারী। এজন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ে করে ওই গবেষণাগারেই ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়। প্রথম দফায় পাঠানো এ আলামতের তালিকায় ছিলো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, ছুরির বাঁট, সাগরের মোজা, একটি কম্বল, সাগরের পরনের প্যান্টসহ আরও কিছু কাপড়ের নমুনা। এরপর ১৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় আলামত হিসেবে সাগরের হাত-পা যে কাপড় দিয়ে বাঁধা হয়েছিলো সে কাপড় এবং রুনির পরনের টি-শার্ট। প্রথম দফায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এসব আলামত থেকে দুজন ব্যক্তির সম্পূর্ণ ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়। আগস্ট মাসের শেষ দিকে এসব প্রতিবেদন হাতে পায় তদন্ত সংস্থা ৱ্যাব। পরে এই দু ব্যক্তির প্রোফাইলের সাথে মিলিয়ে দেখার জন্য এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত নিহত সাংবাদিক দম্পতির পারিবারিক বন্ধু তানভীর, দু নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও এনামুল ওরফে হুমায়ূন কবীর এবং পাঁচ ডাকাত রফিকুল, বকুল, সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণের চুল ও লালা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। তবে আলামত থেকে পাওয়া ডিএনএ প্রোফাইলের সাথে গ্রেফতারকৃতদের ডিএনএর কোনোও মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আরও কিছু আলামত পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখন এসব আলামত পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু ডিএনএ গবেষণা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিএনএ’র ওপর ভরসা করে এ মামলার তদন্ত সম্পন্ন করা বা খুনিদের শনাক্ত করা এক রকম অসম্ভব। কারণ, দেশে পেশাদার অপরাধীদের কারও ডিএনএ নমুনা সংরক্ষিত নেই। থাকলে আলামত থেকে ডিএনএ প্রোফাইলের সাথে অপরাধীদের ডিএনএ প্রোফাইল মিলিয়ে দেখা যেতে পারতো। ন্যাশনাল প্রোফাইলিং ডিএনএ ফরেনসিক ল্যাবরেটরির প্রধান শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, ডিএনএ’র মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আলামত থেকে প্রাপ্ত ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের সাথে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ে মিল থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো ডিএনএ তথ্যভাণ্ডার নেই। সেক্ষেত্রে ডিএনএ’র মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব।
সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে শুধুই আশার বাণী শুনিয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। কিন্তু ফলাফল শূন্য। ঘটনার পরপরই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। এরপর ঘটনার তিন দিনের মাথায় পুলিশ সদর দপ্তরে আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার এক সংবাদ সম্মেলনে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ‘প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। এছাড়া কয়েক দিনের মাথায় ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলামও হত্যাকাণ্ডের ‘মোটিভ’ নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেন। তদন্ত সংস্থা ডিবি গ্রিল কাটা চোরদের দিকে ইঙ্গিত দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা ও ‘জজমিয়া’ সাজানোর বিষয়টি উঠে এলে ডিবি পরে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এছাড়া ৱ্যাবের কাছে তদন্ত হস্তান্তরের পর ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাগর-রুনি হত্যা ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতারের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে পাঁচ জন রফিকুল, বকুল, সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র রায় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে ওই বছর আগস্ট মাসে গ্রেফতার করে ডিবি ও ৱ্যাব। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে তাদের গ্রেফতার দেখানো ছাড়াও সাগর-রুনির পারিবারিক বন্ধু তানভীর ও বাসার নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পালকেও গ্রেফতার দেখানো হয়। কিন্তু দফায় দফায় তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা ৱ্যাব। পরে তদন্ত সংশ্লিষ্ট ৱ্যাব কর্মকর্তারা জানান, পলাতক থাকা আরেক দারোয়ান হুমায়ুন কবীর ওরফে এনামুলকে ধরতে পারলে সব রহস্যের সমাধান হবে। এনামুলকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু রহস্যঘেরা সে নিরাপত্তাকর্মী হুমায়ুন কবীর ওরফে এনামুলকে গ্রেফতার করা হলেও মামলার রহস্যজট খোলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের বাইরে কার্যত এ মামলার তদন্ত একরকম থমকে আছে। মামলার রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় হতাশ তদন্ত সংশ্লিষ্টরাও। একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তের রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় তারা একরকম বিপাকে রয়েছেন। এক্ষেত্রে তারা অভিযোগ করছেন, ঘটনার ৬২ দিনের মাথায় তারা তদন্তভার পেয়েছেন। কিন্তু আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর সংশ্লিষ্টরা সঠিকভাবে আলামত রক্ষা করতে পারেনি। এ কারণে তদন্ত করতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৱ্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার জাফর আহমেদ জানান, হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি। সব রকমের চেষ্টাই করা হচ্ছে।
দু বছরেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল কিনারা না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। তারা এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, খুনিদের শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার আর কোনো সম্ভাবনাই দেখছেন না। মামলার বাদী ও নিহত মেহেরুন রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, দু বছরেও যে মামলার তদন্তে ফলাফল শূন্য সে মামলা নিয়ে আশা করার কিছু নেই। আমরা সবাই হতাশ। এত বড় একটি ঘটনা, পুলিশ-ৱ্যাব এর কোনো কূল-কিনারাই করতে পারলো না। নওশের আলম রোমান বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রথমে পুলিশ ও পরে ৱ্যাব সদস্যরা শুধু আশার বাণী শুনিয়েছেন কিন্তু আশার আলো দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, এখন মামলার তদন্তসংশ্লিষ্টরা তাদের সাথে যোগাযোগও করেন না। তিনি নিজে মাঝে মধ্যে খোঁজখবর নিতে যোগাযোগ করলে ‘চেষ্টা করা হচ্ছে’ বলেন। দু বছরেও মেয়ে ও মেয়ে জামাই হত্যার রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় একরকম শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পুলিশ-ৱ্যাব কি করছে তারাই জানে। আমাদের শুধু আশা দিয়া রাখছে। কিন্তু আর কতদিন আমরা আশা নিয়া থাকবো। তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে যদি রুনি ও সাগরের হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা হয়েছে শুনতে পারতাম, তাহলেও মরেও শান্তি পেতাম। নিহত সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মনির বলেন, আশায় থাকতে থাকতে আমরা সবাই হতাশ হয়ে গেছি। সরকারের কাছে দাবি, তারা যেন সাগর-রুনির হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে সাংবাদিক সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দফায় দফায় মিছিল-সমাবেশ চলতে থাকে। এমনকি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস ইউনিটি মিলে খুনিদের গ্রেফতার আন্দোলন করতে থাকে। এমনকি একাধিকবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিও দেয়া হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দু অংশ একত্রিত হয়ে আন্দোলন করতে থাকে। কিন্তু বর্তমানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলন অনেকটাই থমকে গেছে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটন ও বিচার না হওয়াটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। রাষ্ট্রের একটি সংস্থা আদালতে গিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে। পরে আরেকটি সংস্থা দায়িত্ব নিয়েও প্রায় দু বছরে দৃশ্যমান কোনো ফল দেখাতে পারেনি। এটা চরম হতাশা ও দুঃখজনক। সাংবাদিক সংগঠনের নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক নানা অস্থিরতা, নির্বাচনসহ বিভিন্ন কারণে আগের মতো রাস্তায় আন্দোলন হচ্ছে না কিন্তু সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সকল দাবিতে প্রধান দাবি হিসেবে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তার দাবি করা হয়। বিএফইউজের আরেক অংশের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেন, দু বছরেও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় শুধু আমরা নয়, গোট জাতি স্তম্ভিত। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা যে কোনো মূল্যে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখতে চাই। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে আসছি। আমরা আবারও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার চেষ্টা করছি।