মাথাভাঙ্গা অনলাইন : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে কানাইবাবুর আম বাগানে ইটভাটার ২ পাহারাদারকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার গভীররাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মহাজনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে সেলিম হোসেন (৩৫) ও একই গ্রামের তামির হোসেনের ছেলে সাবুর আলী (৩৭)।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম খান হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত সেলিম ও সাবুরের নামে মুজিবনগর, সদর ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের একাধিক মামলা রয়েছে। এ মামলায় তাদের আটক করেছিল পুলিশ। বেশকিছুদিন হাজতবাস করার পর তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তবে তারা দুজনেই পুলিশের তালিকা ভূক্ত সন্ত্রাসী।
ওসি আসলাম খান আরো জানান, এ দুর্ঘটনাটা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা এলাকার হওয়ায় তাদের লাশ দামুড়হুদা থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
এদিকে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান হাবিব জানান, নিহত ২ যুবকই চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা এবং মেহেরপুরের মুজিবনগর থানার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী। তবে এরা নিজ দলের অভ্যান্তরীণ কোন্দলে না কি প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়েছেন তা তদন্তের পর নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে।
তবে এ দুজনেই সম্প্রতি জেল থেকে বের হয়ে মেহেরপুরের মহাজনপুর গ্রামে কাজল ব্রিকস নামে একটি ইটভাটার নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করছিলেন বলে জানান তিনি।
ইটাভাটার যৌথ মালিক মহাজনপুর গ্রামের মিসকিন আলী ও কাজল জানান, বেশকিছুদিন ধরে সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল। কয়েক দিক আগে চাঁদার টাকা না দেয়ায় এলাকার ৫টি ইটভাটায় বোমা হামলাসহ কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। একারণে নিহতরা এলাকার ইটভাটায় চাঁদাবাজী ঠেকাতে ভাটা মালিকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।
সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দিয়ে এলাকার ভাটা মালিকরা সেই চাঁদার কিছু অংশ নিহত এ দুজনকে দিয়ে আসছিল বলে জানান তারা।