মাথাভাঙ্গা মনিটর: শেষ রক্ষা হলো না ভারতের। ব্যাটে-বলের দারুণ লড়াইয়ে অতিথিদের ৪০ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ৪০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করেতে নেমে ৩৬৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে ভারত। ২০০২ সালের পর ভারতের বিপক্ষে জয় পেল নিউজিল্যান্ড। আর বিদেশের মাটিতে ভারতের দুর্গতি আরো বাড়লো, গত দেশের বাইরে গত ১১টি টেস্টের মধ্যে এটি ভারতের দশম পরাজয়। জয়ের জন্য দু দিনে আরো ৩২০ রানের লক্ষ্য নিয়ে গতকাল রোববার চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামে ভারত। হাতে ছিলো নয়টি উইকেট। কিন্তু দলের স্কোরে ৯ রান যোগ করতেই চেতেশ্বর পুজারাকে ফিরিয়ে দেন টিম সাউদি। বিরাট কোহলির সাথে শিখর ধাওয়ানের শত রানের (১২৬) জুটিতে ম্যাচে ফিরে ভারত। দারুণ এক শতক করে ভারতকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ধাওয়ান। কিন্তু চা পানের বিরতির আগে কোহলিকে ফিরিয়ে দিয়ে জুটি ভাঙেন ম্যাচের সেরা বোলার নেইল ওয়াগনার। বিরতির পর ধাওয়ানকে (১১৫) হারিয়ে ‘ব্যাকফুটে’ চলে যায় ভারত। প্রতিটি স্পেলেই ভয় ধরানো বোলিং করা ওয়াগনার অধিনায়ক এমএস ধোনিকে ফিরিয়ে দিলে হারটা অবধারিতই হয়ে উঠে অতিথিদের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানে ৪ উইকেট নেন প্রথম ইনিংসেও নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার ওয়াগনার। বাকি ছয়টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট। এ টেস্টে ভারতের ২০টি উইকেটই নিয়েছেন কিউই পেসাররা। এর আগে শনিবার ৩০১ রানের লিড পেয়েও অতিথিদের ফলো-অন করায়নি নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে ভারতের পেসারদের দাপটে সেদিনই দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ রানে অলআউট হয়ে তার খেসারত দেয় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অধিনায়ক ব্যান্ডন ম্যাককালামকে এ সিদ্ধান্তের জন্য পস্তাতে হয়নি। প্রথম ইনিংসে অনবদ্য ২২৪ রানের জন্য তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ম্যাককালামের দ্বিশতকেই প্রথম ইনিংসে ৫০৩ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছিলো স্বাগতিকরা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড: ৫০৩ (ম্যাককালাম ২২৪, উইলিয়ামসসন ১১৩।