সদরুল নিপুল: অসম প্রেম অসম জুটি। ‘স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ওল্টুর সাথে বিয়ে করে সংসার করবো। আমি ওল্টুকে ভালবাসি তাকে ছাড়া বাঁচবো না।’ সালিসসভায় জনসম্মুখে পরকীয়া প্রেমিকা দু সন্তানের জননী রোকেয়ার কথাগুলো শুনে সবাই হতবাক হয়ে গেলো। গত পরশু শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার ঘটনাটি নিয়ে জাহাপুর এবং ভেদামারী গ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি হলে পরকীয়া প্রেমিক দু সন্তানের জনক ওল্টু সটকে পড়েছে। রোকেয়ার পিতাসহ দু গ্রামের মানুষ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার জাহাপুর গ্রামে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়নে জাহাপুর গ্রামের ঘোষপাড়ার কলম মণ্ডলের স্ত্রী দু সন্তানের জননী রোকেয়া খাতুনের (৩০) সাথে ভেদামারী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার ছোট ছেলে দু সন্তানের জনক ওল্টু রহমান ওরফে ওল্টুর (৩৬) চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিক বার চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়। ১ বছর আগে কলম মণ্ডল তার স্ত্রী রোকেয়াকে মারধর করলে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। গত পরশু শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রেমিকা রোকেয়া বিয়ের দাবি নিয়ে ওল্টুর বাড়িতে উঠলে ওল্টুর স্ত্রী পলি খাতুন ও তার বড় ভাবী মারধর করে রোকেয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক ওল্টু সটকে পড়ে। ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে গতকাল সকাল ১০টার দিকে জাহাপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় সালিসসভার আয়োজন করা হয়। সালিসসভায় জনসম্মুখে প্রেমিকা রোকেয়া সাফসাফ জানিয়ে দেয় সে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে ওল্টুর সাথে বিয়ে করতে চায়। সালিসসভায় প্রেমিক ওল্টু উপস্থিত না থাকায় সালিস বানচাল হয়ে যায়। গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে প্রেমিকা রোকেয়া আবারও বিয়ের দাবি নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ওল্টুর বাড়িতে অনশন করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক বুঝে রোকেয়ার পিতা আজগার আলীসহ এলাকার অনেক মানুষ তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। রোকেয়া তার পিতার সাথে গতকাল বেলা ৩টার দিকে ফিরে যায়। ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।