তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি মোটরসাইকেল এবং চারটি আলমসাধু চুরি ও ছিনতাই

দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ছিনতাইকার ও চোরচক্রের দৌরাত্ম্য বেড়েছে

ভ্রাম্যমা প্রতিনিধি/কুড়লগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গাসহ আশপাশ এলাকায় চাঁদাবাজদের পাশাপাশি থেমে নেই ছিনতাইকারী ও চোরচক্র। ছিনতাইকারী ও চোরচক্রের দৌরাত্ম্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তিন মাসের ব্যবধানে তিনটি মোটরসাইকেল ও ৪টি আলমসাধু ছিনতাই এবং চুরির ঘটনা ঘটলেও এ পর্যন্ত শুধু একটি আলমসাধু উদ্ধার হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যারাতে দামুড়হুদার সদাবরি-দুর্গাপুর সড়ক থেকে একটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা কার্পাসডাঙ্গার মাছব্যবসায়ী ইয়াকুব আলীর একটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। গত ১ ডিসেম্বর রাতে বাঘাডাঙ্গার সাধন মণ্ডলের বাড়ির গোডাউনের তালা ভেঙে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে পালায় চোরেরা। ২২ ডিসেম্বর রাতে কোমরপুরের মাসুদের বাড়ির গ্রিলের তালা ভেঙে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে। এছাড়া সম্প্রতি দামুড়হুদা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের কাটাখালী নামকস্থানে নাস্তিপুরের জাকির হোসেনের একটি আলমসাধু ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। দুর্গাপুর-সদাবড়ি সড়কের কাঁঠালতলা নামকস্থানে সদাবরি গ্রামের আব্দুল হাই মিয়ার একটি আলমসাধু ছিনতাইকারীরা কেড়ে নেয়। সদাবরি-বুইচিতলা সড়কে বুইচিতলা গ্রামের মুক্তার হোসেনের একটি আলমসাধু ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। কার্পাসডাঙ্গা-ঠাকুরপুর সড়ক থেকে পীরপুরকুল্লা গ্রামের সেলিমের একটি আলমসাধু কেড়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীচক্র।

৩টি মোটরসাইকেল ও ৪টি আলমসাধু ছিনতাই এবং চুরির ঘটনা ঘটলেও এ পর্যন্ত জাকির হোসেনের আলমসাধুটি উদ্ধার হয়েছে। এলাকাবাসী বলেছে, পুলিশের জোরালো ভূমিকাই পারে ছিনতাই ও চুরিকৃত মোটরসাইকেল এবং আলমসাধু উদ্ধার করতে।