দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার ক্লিনিক-নাসিং হোমে অপারেশনসহ চিকিৎসার ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে দর্শনায় ক্লিনিক মালিক সমিতির মতবিনিময়সভা ওষুধ ও অপারেশনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দর্শনা শাপলা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের আয়োজনে তাদের নবনির্মিত ভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভার সভাপতিত্ব করেন সমিতির সহসভাপতি শায়েদুর রহমান খোকন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দর্শনা মর্ডান ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডা. তারিকুল আলম বলেন, চিকিৎসকরা নিরোগ সমাজ গঠনের কারিগর। চিকিৎসার নামে যাতে কোনো রোগী যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবায় সকলকে হতে হবে আন্তরিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ডা. হাসানুজ্জামান নুপুর, ডা. হারুন অর রশিদ পলাশ, ডা. হাসানুজ্জামান নুপুর, সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল হক লাভলু। উপস্থিত ছিলেন- সমিতির যুগ্মসম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, কোষাধ্যক্ষ বকুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ঝন্টু, সাজাহান মোল্লা প্রমুখ। পরে ডা. তারিকুল আলম আহ্বায়ক ও শাপলা ক্লিনিকের সত্ত্বাধিকারী জালাল উদ্দিনকে যুগ্মআহ্বায়ক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ক্লিনিক মালিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন- মুক্তি ক্লিনিক অ্যান্ড লাবীব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাজাহান মোল্লা, মা ও শিশু হাসপাতালের এনামুল হক, হেলথ অ্যান্ড হোপের শফিকুল আলম জান্টু, দামুড়হুদা ক্লিনিকের আব্দুল ওহাব, কার্পাসডাঙ্গা সেবা ক্লিনিকের আহসান আলী, ডিজিটাল ক্লিনিকের আব্দুল মালেক ও নিরাময় ক্লিনিকের হেলাল উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছে।
সভায় অপারেশনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধ পথ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী ১ মার্চ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবাদন কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, যেসব ক্লিনিকের অনুমোদনই নেই, সেগুলোও সমিতিভুক্ত হলো কীভাবে? এসব দেখার দায়িত্ব কার। সেবার মান বৃদ্ধি না করে খরচ বাড়ানোর বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখা উচিত নয়কি?