ঝিনাইদহ অফিস: উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণার প্রথম দিনে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পথসভায় দু দফা হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের ঝিনাইদহ সদর ও শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ ও কবিরপুর বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাকিবুল হাসান দিপু অভিযোগ করেন, গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে তিনি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কর্মী সমর্থক নিয়ে শহরে বের হয়েছিলেন। শৈলকুপা শহরের কবিরপুর মোড় থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সারুটিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও ছাত্রদল নেতা কফি মারাত্মক আহত হন। প্রাণে রক্ষা পান তিনি।
সকালের হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাড়াগঞ্জ বাজারে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভা চালাতে গেলে আবারো হামলা চালায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থকরা। সেখানে তার প্রথম পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে হামলার কারণে পথসভা পণ্ড হয়ে যায়। সেখানে হামলায় উপজেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও যুবদল নেতা মাসুদ আহত হন। আহতরা অভিযোগ করেছেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের সামনে তাদেরকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে। আহতদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনার ছেলে ইকু শিকদারের নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা বাদশা, রিংকু, শীতল, শিহাব, কর্নেল, রিপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নওরোজ, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ ও খোকন এ হামলা চালায়।
এ ঘটনার পর শৈলকুপা উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে সাধারণ ভোটাররা। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শিকদার মোশারফ হোসেন সোনার কর্মী-সমর্থকরা একের পর এক প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালালেও পুলিশ ও প্রশাসন নির্বিকার রয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া থানায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হবে। এদিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ আলী প্রিন্স জানান, প্রার্থীদের নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালানোর জন্য জরুরি এক বৈঠক করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আগামীতে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন বলে তিনি জানান।