অপহৃত সোহেলকে ফিরিয়ে পাওয়ার অপেক্ষায় পিতা গুনছেন প্রহর

মুক্তিপণের দাবিতে নাকি গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে অপহরণ? জবাব খুঁজছে পুলিশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বদরগঞ্জ দশমীর ইটভাটা মালিকের ছেলে সোহেলের হদিস মেলেনি। অপহরণের ২৫ দিন পার হলেও তার ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছে তা নিশ্চিত হতে পারছে না পিতা-মাতাসহ পুলিশ। নানামুখি উদ্ধার তৎপরতা চললেও তাকে মুক্তিপণের জন্যই অপহরণ করা হয়েছে নাকি একাধিক বিয়ে নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে তাকে অপহরণের পর খুন করে গুম করা হয়েছে? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজছে পুলিশ।

সূত্র বলেছে, সোহেলকে ফিরিয়ে পেতে তার পিতা ইতোমধ্যে গোপনে মুক্তিপণের টাকা দিলেও তার মুক্তি না মেলায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন তারা। পুলিশ নানামুখি তদন্ত করলেও ২৫ দিনে তাকে উদ্ধার করতে না পারায় পুলিশের ওপরও স্থানীয়রা আর আস্থা রাখতে পারছে না।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুতুবপুর ইউনিয়নের বদরগঞ্জ দশমীর আব্দুল বারী এলাকার একতা ইটভাটার মালিক। তারই ছেলে সোহেল। গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ব্যাডমিন্টন খেলে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের তিন দিনের মাথায় অজ্ঞাত স্থান থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি সোহেলের পিতার নিকট মোবাইলফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অতো টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই ব্যক্তির মোবাইলফোন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরই মাঝে ইটভাটার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কর্মচারী ঝিনাইদহ ডাকবাংলার তোতা নিরুদ্দেশ হয়। এই তোতা ওই অপহরণের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে স্থানীয়রা বলেছেন, তোতা আত্মগোপন করেছে। তার মাধ্যমে ইতোমধ্যে কিছু টাকা অপহরকচক্রের ডেরায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। অবশ্য মুক্তিপণের টাকা প্রদানের কথা অপহৃত সোহেলের পিতা আব্দুল বারী অস্বীকার করে বলেছেন, আমি কাউকে টাকা দিইনি। আমি আমার ছেলেকে ফিরিয়ে পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমার বিশ্বাস ছেলে ফেরত আসবেই।

এদিকে গ্রামের একাধিকসূত্র বলেছে, সোহেল প্রেম করে গ্রামেরই রবজেল খার মেয়ে জেসমিন রিঙ্কির সাথে বিয়ে করে। বছর দেড়েক সংসারও করে। পরে বিচ্ছেদ ঘটে। দ্বিতীয় বিয়ের পর বর্তমান শ্বশুরের সাথে জেসমিনের নিকটজনদের বিরোধ দানা বাধে। সেই বিরোধের জের ধরে কিছু হলো না তো? গ্রামের অনেকের সাথেই এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে শুরু করেছে পুলিশ।