আলুকদিয়া মনিরামপুরের ডাকাতির ঘটনা রহস্যজনক

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া মনিরামপুর গ্রামের ডাকাতির ঘটনা রহস্যজনক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ডাকাতির নাটক সাজিয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। শহিদুল ইসলামসহ পরিবারের ৩ জন মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হওয়ায় বাদীদেরকে ডাকাত সাজিয়ে থানায় মামলা করার উদ্দেশেই ফিরোজা খাতুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে প্রতিপক্ষের দাবি।

সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার মোচাইনগর গ্রামের মিনহাজ উদ্দীনের মেয়ের সাথে চুয়াডাঙ্গা মনিরামপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান বিপ্লবের সাথে বিয়ে হয়। সম্প্রতি আসাদুজ্জামান বিপ্লব, বড় ভাই শহিদুল ইসলাম ও তাদের ভগ্নিপতি আজিজুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরই মধ্যে বাদী পক্ষের মিনহাজ, শাহীন ও নাসিরের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ করলেন শহিদুলের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মনিরামপুরের শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির সময় মারধর করে বলে তার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন দাবি করে ওই রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরাও সন্দেহ করেন তার মরধরের ঘটনা নিয়ে। গতকালই তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরেন। প্রতিবেশীরাও ডাকাতির ঘটনা নিয়ে সন্দেহ করছে। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি এরশাদুল কবীর মাথাভাঙ্গাকে জানান, শহিদুল ইসলামের পরিবার মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বাদীপক্ষকে ডাকাত বানানোর জন্য স্ত্রী ফিরোজাকে দিয়ে নাটক সাজিয়েছে। এদিকে এ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, মোচাইনগরের মিনহাজ উদ্দীন। তিনি বলেছেন, সত্য কোনো সময় চাপা থাকে না। আমাদেরকে ডাকাত বলা হয়েছে, যা সাজানো, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এসব মিথ্যা নাটক সাজিয়ে শহিদুল ইসলামরা মামলা থেকে পার পাবে না।