আরেকটি ধবলধোলাই নিয়ে ইংল্যান্ডের দেশে ফেরা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: হাঁফ ছেড়ে যেন বাঁচলো ইংল্যান্ড! গত কয়েক মাস ইংল্যান্ডের ওপর দিয়ে যে ‘অত্যাচার’ গেছে, সেটি তুলনাযোগ্য একমাত্র মধ্যরাতের দুঃস্বপ্নের সঙ্গেই। দেশে ফিরে পারলে টেমস নদীতে একটা ডুব দিয়ে উঠতে পারেন স্টুয়ার্ট ব্রডরা! অ্যাশেজে ৫-০ লজ্জার পর ওয়ানডে সিরিজে ৪-১-এ হার। বাদ ছিলো টি-টোয়েন্টি। গতকাল সিডনিতে শেষ ম্যাচে ৮৪ রানে হারিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণেও ইংলিশদের ৩-০-এর লজ্জা দিলো অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের শেষ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিঙের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জর্জ বেইলি। ইংলিশ বোলারদের কচুকাটা করতে গতকালও এগিয়ে আসেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা হোয়াইট ক্যামেরন ও বেইলি। ক্রিস জর্ডানের শিকার হওয়ার আগে ক্যামরনের সংগ্রহ ৩৭ বলে ৪১। তবে বেইলির ইনিংসটি বেশ আক্ষেপ-জাগানিয়া।

ইংলিশ বোলারদের তুলাধোনা করে ২০ বলে করলেন অপরাজিত ৪৯। মাত্র এক রানের জন্য ছোঁয়া হলো না তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি! অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষ ওভারে বল করতে আসেন ডার্নবাক। ডার্নবাকের প্রথম পাঁচটি বলে বেইলের বাউন্ডারি ৪,৬,৬,৪,৪! শেষ বলে একটি বাউন্ডারি মারলেই ফিফটি। কিন্তু পারলেন না অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। ২ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। ডার্নবাকের করা শেষ ওভারেই উঠল ২৬! নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ালো ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৫। ইংলিশ বোলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন ব্রড। বিরাট লক্ষ্য দেখে ভড়কে যাওয়ার পুরোনো অসুখ ইংল্যান্ডকে আবারও পেয়ে বসল। ১৪.৩ ওভারে ৯৮ রান তুলতেই ৮ উইকেট নেই! জ্বালানির অভাবে খুঁড়িয়ে চলা ইনিংস-গাড়ি থামল ১১১ রানে। হারল ৮৪ রানে। ১৭.২ ওভারে ইংল্যান্ডকে অলআউট করতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান কোল্টার-নাইল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জেমস মুরহেড। বোলার ত্রয়ী সর্বোচ্চ পেয়েছেন দুটি করে উইকেট। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ করেন মরগান। তবে ম্যাচসেরা বেইলি। এতে হয়তো ফিফটি না ছোঁয়ার সান্ত্বনা খুঁজে নিতে পারেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।