মাথাভাঙ্গা মনিটর: গত দু মাসে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড সিরিজের ম্যাচ রিপোর্টে একই কথা লিখতে লিখতে ক্রীড়া সাংবাদিকেরা বোধ হয় ক্লান্তই। অস্ট্রেলিয়ার জয়গাথা আর ইংল্যান্ডের পরাজয়- একই কথা লিখতে হচ্ছে ঘুরেফিরে। ইংলিশরাও সম্ভবত এ একঘেঁয়ে সিরিজ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজছে। স্বস্তির খবর, আর বেশি ধৈর্য ধরতে হবে না তাদের। আর তো মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি। গতকাল মেলবোর্নেও ৮ উইকেটের হার। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সিডনিতে অনুষ্ঠেয় শেষ ম্যাচে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা থেকে ইংল্যান্ড রক্ষা পাবে কি-না, সেটিই দেখার বিষয়। তবে ইংলিশদের জন্য সুখবর, এরপর আর এই সফরে কোনো ম্যাচ নেই! টসে জিতে প্রথমেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক স্টুয়ার্ট ব্রড। কিন্তু অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যানই যথার্থ প্রমাণ করতে পারলেন না। ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তুলল ১৩০। টি-টোয়েন্টিতে এমন স্কোর মোটেও নিরাপদ নয়। সেটাই বুঝিয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া।
কিপটে বোলিং তো বটেই, তবে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ধসিয়ে দেয়ার মূল কাজটি করেছেন জস হ্যাজলউড। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার-সেরা ৩০ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ জস বাটলারের। সেটিও মাত্র ২২। ১৩১ রানের মামুলি লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়ানরা জিতেছেন হেসেখেলেই। ইংলিশ বোলারদের দুহাতে নাচিয়ে ৩১ বল বাকি থাকতেই আগের ম্যাচের নায়ক ক্যামরন হোয়াইট ও অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জর্জ বেইলি ফিরেছেন বীরের বেশে। হোয়াইট ৫৭ আর বেইলি ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। বেইলি ২৮ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ৭ চার আর ৩ ছয়ে। অর্থাত্ জায়গায় দাঁড়িয়েই তুলেছেন ৪৬ রান। ম্যাচসেরা অবশ্য হ্যাজলউড। এ জয়ে টেস্ট-ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। পরের ম্যাচটি কেবলই আনুষ্ঠানিকতার, নাকি ধবলধোলাইয়ের?