গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই মজনু মিয়ার অপসারণ ও আটক দু আওয়ামী লীগ নেতার মুক্তি দাবিতে গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীর নেতৃত্বে গাংনীতে সড়ক অবরোধ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে গাংনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ শুরু হলে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে গাংনী থানার ওসির আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। সড়কের গাছ কর্তন, গ্রেফতার বাণিজ্য ও মাদক ব্যবসায় মদদ দেয়াসহ মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন নেতৃবৃন্দ।
গতকাল বিকেলে পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী গাংনী বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। সড়কের ওপরে সমাবেশ শুরু হয়। মেহেরপুর ও কুষ্টিয়াগামী বাস-ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে। অবরোধের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখনসহ নেতৃবৃন্দ। পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মেদ আলী অভিযোগ করেন, হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই মজনু মিয়া এলাকায় নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে অর্থবাণিজ্য করে আসছেন। গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কের দু পাশের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। তাছাড়া কিছু মাদকব্যবসায়ীকে মদদ দিয়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছেন। এর প্রতিবাদ করায় রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রব ও গজারিয়া হেমায়েতপুর গ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন ঠাণ্ডুকে গতকাল বৃহস্পতিবার হেমায়েতপুর বাজার থেকে পুলিশ আটক করে। তাদের বিরদ্ধে কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা না থাকলেও হয়রানি করার জন্য মজনু মিয়ার যোগসাজশে আটক করা হয়েছে। এ দুজনের মুক্তি ও ক্যাম্প ইনচার্জ মজনুর অপসারণ দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকবার ওসিকে মজনুর বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও তার কোনো ফল পাওয়া যায়নি।
এদিকে সন্ধ্যার পরে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম অবরোধ স্থলে আসেন। আটক দুজনের মুক্তি ও দ্রুততম সময়ে মজনুর অপসারণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এর প্রেক্ষিতে সন্ধ্যা সাতটার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ১২টার দিকে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের জিম্মায় আটক দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।