টি-টোয়েন্টিতেও হার দিয়ে শুরু ইংল্যান্ডের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইংল্যান্ডের অবস্থা এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি! অ্যাশেজে ৫-০ লজ্জার পর ওয়ানডে সিরিজে ৪-১-এ হার। টি-টোয়েন্টি সিরিজও শুরু হলো হার দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংলিশদের একেকটা দিন কাটছে বিভীষিকায়। কবে এ থেকে তাদের ‘মুক্তি’ হবে, কে জানে! হোবার্টে আজ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ড হেরেছে ১৩ রানে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জর্জ বেইলি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে ইংলিশ বোলারদের কচুকাটা করেন দু ওপেনার ক্যামেরন হোয়াইট ও অ্যারন ফিঞ্চ। হোয়াইট-ফিঞ্চের উদ্বোধনী জুটি প্রথম ৬৩ বলে তোলে ১০৬। স্ট্রুয়ার্ট ব্রড ফিফটি ছোঁয়া ফিঞ্চকে ফিরিয়ে ইংলিশদের স্বস্তির উপলক্ষ এনে দিলেও শেষ অবধি তা ম্লান হয় হোয়াইটের কাছে। ৪৩ বলে ৭৫ করা হোয়াইটকে ফেরান রাইট। শেষ দিকে ক্রিস লায়নের ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২১৩।

২১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ১১.৪ ওভারে ১০০ রান তুলেতেই ৬ উইকেট নেই ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকেরা যখন আরেকটি সহজ জয়ের উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক তখনই দারুণ ঝলক দেখান সাত নম্বরে নামা রবি বোপারা। তার ২৭ বলে অপরাজিত ৬৫ রান শেষ দিকে ইংলিশদের স্বপ্ন দেখালেও তা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। কেননা ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। ফলে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০০ তুলেই রণেভঙ্গ দিতে হয় ইংল্যান্ডের। ইংল্যান্ডের মিডল-অর্ডার তছনছ করার আসল কাজটি করেছেন নাথান কোল্টার-নাইল। ডানহাতি এ পেসার নিয়েছেন ৪ উইকেট। তবে ম্যাচসেরা হোয়াইট। এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। পরের ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারি, মেলবোর্নে।