চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির বিবৃতি

 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের নাম দিয়ে যে জরুরি সভা হয়েছে সেটা সংগঠন বহির্ভূত ও অবৈধ। কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি গঠনতন্ত্র আছে যাতে পরিষ্কার করে লেখা আছে- সভাপতির অনুমতি বা স্বাক্ষর ছাড়া কোনো সভা সমাবেশ গ্রহণযোগ্য হবে না।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের জরুরি সভা গতপরশু অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে গতকাল তা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিবৃতিতে বলেছে,  ওই জরুরি সভাটি কাউকে মনোরঞ্জন বা তেল দেয়ার সভা। যা জেলা ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীর মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সভায় বলা হয়েছে আমি বোমা মারার ইন্ধনদাতা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এটা সম্পন্ন মনগড়া কথা ও মিথ্যা বানোয়াট যার কোনো ভিত্তি নেই, বিগত ছাত্রলীগের সভা মিছিল এগুলো জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতার উপস্থিতি ছিলেন যার ছবি স্থানীয় পত্রিকা দেখলে পরিষ্কার বোঝা যাবে। আর বোমা মারার নাটক ইতোমধ্যে জেলাবাসী জেনে গেছে এবং ভোটের সময় জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কয়েকবার নির্বাচনী সভা করেছে যে সভায় জীবননগর থেকে আলমডাঙ্গা পর্যন্ত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পত্রিকা তার প্রমাণ। আমি যদি সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড করে থাকি অবশ্যই এর ফল আমি মাথা পেতে নেবো। এসব মিথ্যা বানোয়াট কথা চুয়াডাঙ্গা ছাত্রসমাজ গিলবে না। কারণ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম তাদের মন্তব্য ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এজন্য আমিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। সেই সাথে যারা সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে তারা সঠিকভাবে চলা ও রাজনীতি করলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হবে সাধারণ মানুষ বলবে, সেই রাজনীতি করার উদ্দেশে আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে আমার রাজনৈতিক সহযোগীকে আরো একটি কথা স্মরণ করিয়ে রাখতে চাই জোর করে চাচা আত্মীয়দের ক্ষমতা প্রদর্শন করে দলীয় নেতাকর্মীর ভালোবাসা পাওয়া যায় না। যেটা পওয়া যায় সেটা ক্ষণিকের।